বাজারে চায়ের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, এমন বার্তা দিয়ে যুক্তরাজ্যে ক্রেতাদের সতর্ক করা হয়েছে। বৃটেনের অন্যতম সুপার মার্কেট কোম্পানি সেইন্সবারির তাদের কিছু শাখাতে গ্রাহকদের সতর্ক করতে ঘাটতির খবর দিয়ে রীতিমতো নোটিশ লাগিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, “দেশব্যাপী চায়ের প্রাপ্যতায় সমস্যা রয়েছে বিধায় কালো চায়ের প্রাপ্যতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। আমরা কালো চায়ের বাজারে যোগানের ঘাটতি বুঝতে পারছি। চায়ের যোগানের ঘাটতির জন্য ক্ষমা চাইছি এবং শিগগিরই পুরো সরবরাহে ফিরে আসার আশা করছি।
বৃটিশ গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলেছে-আংশিকভাবে লোহিত সাগর দিয়ে পণ্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার কারণে বাজারে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিশেষ করে কালো চায়ের ঘাটতি হতে পারে। লোহিত সাগরে হুথিদের হামলার কারণে গত দুই মাসে এই অঞ্চল থেকে মালামাল চালানের বড় ধরনের বিঘ্নের মুখোমুখি হয়েছে। এই অঞ্চলে হুথি বিদ্রোহীদের দ্বারা সহিংসতার ফলে বেশিরভাগ শিপিং সংস্থাগুলো সুয়েজ খালের দিকে যাওয়া মূল বাণিজ্য রুট ব্যবহার করে। এই রুট আফ্রিকার পাদদেশে কেপ অফ গুড হোপের পাশে দিয়ে যায়। যার কারণে প্রতি চালানে অতিরিক্ত ১০-১৪ দিন যুক্ত হয়। তাছাড়া শিপিং সংস্থাগুলোর জন্য ব্যয়ও বেড়ে যায়।
বৃটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়াম (বিআরসি) এর খাদ্য ও টেকসই পরিচালক অ্যান্ড্রু অপি বলেছেন কিছু কালো চায়ের যোগানে অস্থায়ীভাবে ব্যাঘাত ঘটছে।
যার জন্য ভোক্তাদের উপর প্রভাব পড়তে পারে। মূলত চীন, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং কেনিয়া বিশ্বব্যাপী প্রায় তিন-চতুর্থাংশ চা উৎপাদন করে থাকে।
অন্যদিকে ভারত থেকে যুক্তরাজ্যে রপ্তানিকৃত চায়ের কোম্পনিগুলো তাদের চালান স্থগিত করতে যাচ্ছে, এ নিয়ে ভারতের দার্জিলিংয়ের বেশ কয়েকটি চা বাগানের মালিক এবং দোর্জে টিয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্পারশ আগরওয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লোহিত সাগর দিয়ে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার কারণে চা চালান আপাতত স্থগিত করা হচ্ছে। সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে আগামীতে সুপারমার্কেটের পণ্যের সেলফে ক্রেতারা তাদের পছন্দের প্রিয় গরম পানীয় খুঁজে পেতে লড়াই করতে হতে পারে।