জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর  জানিয়েছে যে তারা গত ছয় সপ্তাহে গাজায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন(জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ কেন্দ্রগুলোতে  এবং অন্যান্য ত্রাণ গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত কনভয়ের কাছাকাছি কমপক্ষে ৭৯৮ জনকে হত্যার ঘটনা রেকর্ড করেছে।জিএইচএফ গাজায় সরবরাহের জন্য বেসরকারী মার্কিন নিরাপত্তা ও সরবরাহ সংস্থাগুলোকে  ব্যবহার করে। মূলত জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন কোনো  ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যায়। যার ফলে ইসরাইলের পাল্টা  অভিযোগ, হামাস-নেতৃত্বাধীন সদস্যরা বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ত্রাণ চালান লুট করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইসরাইলি বাহিনী যেসব অঞ্চলে কাজ করে, সেখানে জিএইচএফের সাহায্য কেন্দ্রগুলোতে  পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় শত শত ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর পর, জাতিসংঘ তাদের সাহায্য মডেলকে “অনিরাপদ” এবং মানবিকতার মানদণ্ডের  লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। 

 

জেনেভায় সাংবাদিক সম্মেলনে রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, ৭ জুলাই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত ত্রাণের জন্য আসা ৭৯৮ জন ফিলিস্তিনিকে  খুন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ত্রাণ শিবির অঞ্চলে। বাকিরা নিহত হয়েছেন ত্রাণশিবিরের দিকে যাওয়ার রাস্তাতেই। ইসরাইলের ১১ সপ্তাহের  অবরোধ তুলে নেওয়ার পর মে মাসের শেষের দিকে গাজায় খাদ্য প্যাকেজ বিতরণ শুরু করা জিএইচএফ রয়টার্সকে জানিয়েছে যে জাতিসংঘের পরিসংখ্যান “মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর”। তারা অস্বীকার করে যে ত্রাণ কেন্দ্রে  মারাত্মক কোনো ঘটনা ঘটেছে। একজন জিএইচএফ মুখপাত্র বলেছেন -আসল কথা হলো, সাহায্য কেন্দ্রে সবচেয়ে মারাত্মক হামলার সাথে জাতিসংঘের কনভয় জড়িত। সমাধান হল আরও সাহায্য। যদি জাতিসংঘ (এবং) অন্যান্য মানবিক গোষ্ঠীগুলো  আমাদের সাথে সহযোগিতা করে, তাহলে আমরা এই সহিংস ঘটনাগুলো  বন্ধ করতে বা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারি। ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে রয়টার্সকে জানিয়েছে যে তারা সাম্প্রতিক গণহত্যা পর্যালোচনা করছে  অতিরিক্ত পথ খুলে দিয়ে ফিলিস্তিনি এবং ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মধ্যে সংঘর্ষ কমানোর চেষ্টা করছে।

সূত্র:  রয়টার্স

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here