নয়াদিল্লিতে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছিলেন আওয়ামী লীগের পলাতক শীর্ষ নেতা ও ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের সাবেক মন্ত্রীরা। কিন্তু প্রস্তুতির চূড়ান্ত মুহুর্তে ভারত সরকারের সায় না পেয়ে ভিন্ন নামে আহুত সংবাদ ব্রিফিংটি বাতিল করা হয়। যদিও আয়োজনকদের তরফে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়া সাংবাদিকদের ‘এটা আপাতত স্থগিত’ জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে গণহত্যা’ চলছে এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রীরা। তবে অনুষ্ঠানের ঠিক আগমুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে-
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, এই গভীর শোকাবহ পরিস্থিতিতে এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমরা সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এদিকে দিল্লিতে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, এই সম্মেলন নিয়ে বাংলাদেশ সরকার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনানুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ জানিয়েছিল। বিশেষ করে, আগামী ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক বছর পূর্ণ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেশী দেশের মাটিতে এমন একটি বিতর্কিত অনুষ্ঠান প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চলমান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংস্থাটি বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আলী সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত।