কাল জিতলেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের সাধ পাবে বাংলাদেশ! হ্যাঁ, ২০১৩ থেকে দলটির বিপক্ষে গেল ১০ বছরে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে টাইগাররা। ১০ বছরে প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে চার-ছক্কার লড়াইয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। সবশেষ ২০১৭তে ১-১ এ সিরিজ ড্রই প্রাপ্তির খাতায় সাফল্য বলে বিবেচিত। তবে এবার দেশের মাটিতে সুযোগ এসেছে সেই ইতিহাস বদলে ফেলার। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এখন সেই প্রথমের অপেক্ষাতে। আজ জিতলেই প্রথমবারের মতো লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ২০৭ রান তাড়া করে মাত্র ৩ রান দূরে এসে হেরে যায় নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল। পরের ম্যাচে ১৬৫ রান তাড়া করে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে সমতায় ফেরে টাইগাররা। কাল সিরিজের শেষ ম্যাচ। জিতলেই বদলে যাবে ইতিস।
গতকাল অবশ্য দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই ছিল বিশ্রামে। তবে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ঐচ্ছিক অনুশীলনে হাজির ছিলেন। দ্বিতীয় মাচে তিনি নিজে ফিফটি হাঁকিয়ে ফর্মে ফিরেছেন। একাই অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন। তার সঙ্গে মাঠে ছিলেন সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়, নাঈম শেখ, তানজিদ সাকিব। তবে এদিন তাদের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন ওয়ানডে দলের সদস্য তানজিদ হাসান তামিম, মুশফিকুর রহীমও। তবে এদিন দলের সঙ্গে দেখা গেছে মনোবিদ ফিলজোন্সকেও। দুপুর ২টায় সিলেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ অনুশীলন শুরু করলেও এদিন শ্রীলঙ্কা দল ছিল পরিপূর্ণ বিশ্রামে। প্রথম ম্যাচ সফরকারীরা হারতে হারতে জিতে গেছে। তবে পরের ম্যাচে তারা পাত্তা পায়নি। হয়তো সেই কারণেই মানসিকভাবে চাঙ্গা হতে বিশ্রামটাকে বেছে নিয়েছেন তারা। অন্যদিকে দুপুরে ব্যাটিং অনুশীলনটাই ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন দুই ম্যাচের একাদশে এখন পর্যন্ত জায়গা না পাওয়া নাঈম ও বিজয় বেশ কিছুক্ষণ ব্যাটিং করেন। এ ছাড়াও প্রথম দুই ম্যাচে না খেলা পেসার সাকিবকেও অনেকক্ষণ বল করতে দেখা যায়। তবে সবেচয়ে বেশি নজর কাড়ে মনোবিদ ফিলজোন্স। শুধু টি-টোয়েন্টি দলই নয় তিনি কথা বলছিলেন ওয়ানডে স্কোয়াডে থাকা মুশফিক ও তানজিদের সঙ্গেও। বিশেষ করে কথা বলতে দেখা গেছে শান্ত ও সৌম্য সরকারের সঙ্গে। দলকে মানসিকভাবে শক্ত করতে ফের জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এই মনোবিদ। দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে এই মনোবিদ টি-টোয়েন্টি সিরিজ পর্যন্তই দলের সঙ্গে কাজ করবেন। যদি পরে কোনো প্রয়োজন হয় ফেরানো হবে তাকে।