ভারতের পাঞ্জাবে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার এক বিধায়ক পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়েছেন। অভিযোগ আছে, পালানোর সময় তিনি ও তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর গুলি চালান এবং এক পুলিশ সদস্যকে গাড়িচাপা দেন। বর্তমানে ওই বিধায়ক ও তার সহযোগীদের খুঁজছে পুলিশ। তারা দু’টি গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া ওই বিধায়ক হলেন সানৌরের আম আদমি পার্টির (এএপি) বিধায়ক হরমিত পাঠানমাজরা। মঙ্গলবার সকালে কর্নালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় থানায় নেয়ার সময় পাঠানমাজরা ও তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। এক পুলিশ সদস্য বাধা দিলে তাকে গাড়ি চাপা দেয় তারা। পরে পুলিশ একটি গাড়ি আটক করে। তবে ওই বিধায়ক ছিলেন অন্য গাড়িতে। তিনি এখনও পলাতক। হরমিত পাঠানমাজরার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণা ও হুমকির মামলা রয়েছে। এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযোগ আছে, বিধায়ক তাকে প্রতারণা করে জানান যে তিনি তালাকপ্রাপ্ত। এরপর তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। ওই মহিলা অভিযোগ করেছেন, বিধায়ক তাকে যৌন শোষণ করেছেন। ভয় দেখিয়েছেন এবং অশ্লীল সামগ্রী পাঠিয়েছেন। এর আগে পাঠানমাজরা পাঞ্জাবে বন্যা মোকাবিলায় নিজেদের সরকারের সমালোচনা করেন। এফআইআর দায়ের হওয়ার পর তিনি ফেসবুক লাইভে এসে ভগবন্ত মান সরকারের সমালোচনা করে বলেন, দিল্লির এএপি নেতৃত্ব বেআইনিভাবে পাঞ্জাব শাসন করছে।
তিনি দাবি করেন, আমার বিরুদ্ধে এফআইআর হোক, আমি জেলে থাকি, কিন্তু আমার কণ্ঠরোধ করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, তার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। তার ভাষায়, আগেই আমার দেহরক্ষীদের জানিয়েছিলাম তাদের সরিয়ে দেয়া হবে। দিল্লির এএপি নেতারা মনে করে ভিজিল্যান্স বা এফআইআর দিয়ে আমাকে ভয় দেখাতে পারবে। কিন্তু আমি কখনো মাথা নত করব না। আমি আমার মানুষের পাশে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে থাকব। এর আগেও পাঠানমাজরা সতর্ক করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, সরকার যদি জনগণের কথা না শোনে, তবে ‘মানুষ আমাদের পেটাবে।’