ডলারের পাশাপাশি দেশের ব্যাংক খাতে চলছে তারল্য সংকট। সংকট মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া অব্যাহত রেখেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
মঙ্গলবার এক নিলামে ৩২টি ব্যাংক ও চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) রেপো ও তারল্য সহায়তা সুবিধার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ১৩ হাজার ২০ কোটি টাকা ধার নিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকিং খাতে তারল্যের সংকটের মধ্যে ব্যাংকগুলো গত কয়েক মাস ধরে প্রতি কার্যদিবসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা পাচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী জুলাই থেকে রেপোর মাধ্যমে তারল্য সহায়তা প্রতিদিনের পরিবর্তে সাপ্তাহিক হবে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকাররা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রা সংকট, সরকারি ট্রেজারি বিলের ক্রমবর্ধমান সুদের হার ও নীতি হার বৃদ্ধির কারণে সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে।
তারা জানান, কোনো কোনো ব্যাংক এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা নিয়ে ট্রেজারি বিলে বিনিয়োগ করছে। কারণ ট্রেজারি বিলের সুদহার ১১ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
মঙ্গলবারের নিলামে ১৮টি ব্যাংক ও চারটি এনবিএফআই সাত দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার মাধ্যমে নিয়েছে ৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। এছাড়া একদিনের তারল্য সহায়তা সুবিধার মাধ্যমে ১৪টি ব্যাংক নিয়েছে ৫ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা। এর সুদের হার ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ ও ৮ শতাংশ। শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংক নয়, ব্যাংকগুলো অর্থ ধার করতে কল মানি মার্কেটেও যাচ্ছে।