বাংলাদেশ ব্যাংক তার স্বকীয়তা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে খেলাফত মজলিস। গতকাল বুধবার খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী বৈঠকে এ মন্তব্য করেন খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দরা। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ক্রম অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে খেলাফত মজলিস বলছে, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার তুলনায় টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন ঘটেছে। এর প্রভাবে আমদানি ব্যয়ের পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য আরেক দফা বেড়েছে। ব্যাংকিং খাতে একের পর এক কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশিত হচ্ছে। জনগণের আমানত লুটপাট হয়ে যাচ্ছে অথচ সরকার নির্বিকার। বাংলাদেশ ব্যাংক তার স্বকীয়তা হারিয়েছে।
বৈঠকে নেতৃবৃন্দরা বলেন, রিজার্ভ কমে এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে, যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটানো সম্ভব নয়। ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী এলসি খুলতে পারছেন না। সরকারের সামগ্রিক আয়ব্যয় এখন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে।
বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। সামনের বাজেটে ভর্তুকি কমিয়ে, ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়িয়ে জনগণের ঘাড়ে ঋণ পরিশোধের দায় চাপাতে চায় সরকার। এই অবস্থা থেকে দেশবাসী আজ মুক্তি চায়।
খেলাফত মজলিসের আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলীর পরিচালনায় নির্বাহী বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহীন, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আবু সালমান, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, ডা. আবদুর রাজ্জাক, জিল্লুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন প্রমুখ।