সর্বশেষ
Home » বিশ্ব » যুক্তরাজ্যের নির্বাচন – জরিপে লেবার পার্টির রেকর্ড জয়ের পূর্বাভাস, ভরাডুবি হতে পারে কনজার্ভেটিভ দলের

যুক্তরাজ্যের নির্বাচন – জরিপে লেবার পার্টির রেকর্ড জয়ের পূর্বাভাস, ভরাডুবি হতে পারে কনজার্ভেটিভ দলের

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের আর মাত্র বাকি একদিন। অর্থাৎ আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পার্লামেন্ট নির্বাচন। দেশটিতে এবারের নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হচ্ছে ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টি এবং বিরোধী লেবার পার্টি। তবে বিভিন্ন জরিপে এবারের নির্বাচনে লেবার পার্টির রেকর্ড জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বৃটেনের ভোট গণনাকারী সংস্থা সার্ভেশনের একটি জরিপে লেবার পার্টির বিশাল জয়ের সম্ভাবনার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, বৃটেনের পার্লামেন্টে মোট আসন সংখ্যা ৬৫০। এরমধ্যে ৪৮৪টি আসনে কেইর স্টারমারের লেবার পার্টি জয়ী হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ভোটের ফলাফল জরিপকারী ওই সংস্থাটি। এর আগে দলটির সাবেক নেতা টনি ব্লেয়ার ১৯৯৭ সালে ৪১৮টি আসনে জয়লাভ করেছিলেন। এই জরিপে সেবারের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
যদিও গত ১৪ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের শাসন ক্ষমতায় টিকে রয়েছে বৃটেনের বৃহৎ রাজনৈতিক দল কনজার্ভেটিভ পার্টি। তবে এবার তাদের বিশাল পরাজয় হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জরিপে তাদের পক্ষে মাত্র ৬৪টি আসনের কথা জানানো হয়েছে। ১৮৩৪ সালের পর থেকে সম্ভবত এবারই পরাজয়ের স্বাদ পেতে যাচ্ছে কনজার্ভেটিভরা। অন্যদিকে দেশটির ডানপন্থি সংস্কারপন্থি দলগুলোর পক্ষে মাত্র ৭টি আসনে জয়লাভের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এই জরিপটি পরিচালনা করতে সংস্থাটি মাল্টিলেভেল রিগ্রেশন অ্যান্ড পোস্ট স্ট্রাটিফিকেশন (এমআরপি) কৌশল ব্যবহার করেছে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় পর্যায় থেকে স্থানীয় পর্যায়ের জনমত অনুমান করা সম্ভব। মূল নির্বাচনের আগে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জনমত সংগ্রহ করে এই জরিপের পূর্বাভাস নির্ধারণ করা হয়। অন্যদিকে আরেকটি এমআরপি জরিপেও লেবার পার্টির জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে সেই জরিপে লেবার পার্টির বিশাল জয়ের সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছরের। ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল কনজার্ভেটিভ পার্টি। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ঋষি সুনাক। তিনিই আধুনিক সময়ে বৃটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তার বর্তমান বয়স এখন প্রায় ৪৮ বছর। অন্যদিকে লেবার পার্টির নেতৃত্বে থাকা স্যার কিয়ের স্টারমারের বয়স ৬১ বছর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *