ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ চলছে। এ নির্বাচনে সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং কট্টরপন্থী সাইদ জালিলির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।
গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান।
২৮ জুনের নির্বাচনে কোনো প্রার্থী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। সেবার পেজেশকিয়ান ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং জালিলি ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। এ কারণে শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ইরানে এমন এক সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ ঘিরে আঞ্চলিক উত্তেজনা চরমে রয়েছে। এ ছাড়া পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে ইরানের বিরোধ রয়েছে। আর নিষেধাজ্ঞায় দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতি নিয়ে অসন্তোষও বাড়ছে।
দেশটির প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সকাল ৮টায় ভোটকেন্দ্র খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভোট দেন। রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল তা সম্প্রচার করেছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত মত দেন খামেনি। লোকজনকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে খামেনি বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য আজ একটি ভালো দিন।
খামেনি বলেন, আশা করছি। আমরা সঠিক প্রার্থী বেছে নিতে পারব। এ পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে জনগণকে আলাদা প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
জুনে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে মাত্র ৪০ শতাংশ ভোট পড়ে। দেশটিতে ভোটার ৬১ মিলিয়ন। ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের পর এবারই প্রথম এত কম পরিমাণ ভোট পড়ল।
তেহরান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক রেসুল সারদার বলেন, দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটের কিছুক্ষণ আগে প্রকাশিত জরিপের একটিতে দেখা গেছে, পেজেশকিয়ান সম্ভবত নির্বাচনী দৌড়ে জয়ী হবেন। তবে উভয় পক্ষই শেষ পর্যন্ত জয়ের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে।
অনেকে বলছেন, গত সপ্তাহের নির্বাচনে জরিপ ব্যর্থ হয়েছিল। তাই আজও আশ্চর্য কিছু ঘটতে পারে। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো ভোটার উপস্থিতিতি।