বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুইজনকে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহাবুব উল আলম হানিফের নামে দুটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে কুষ্টিয়া সদর মডেল থানায় পৃথক এ দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
কুষ্টিয়ার সদর থানারপাড়ার বাসিন্দা লুকমান হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ ১০-২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এবং সাংবাদিক, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপিসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি রয়েছেন।
মামলার এজহারে লুকমান হোসেন সূত্রে জানা যায়, আমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। গত ০৫ আগস্ট সোমবার দুপুর ২টার সময় আমার ছেলে আব্দুল্লাহ (১৩) আমার জন্য খাবার নিয়ে আসছিল। এসময় আসামিরা আন্দোলকৃত শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল দিয়ে হামলা করে। তখন আমার ছেলে খাবার নিয়ে আসার সময় ভিড়ের মধ্যে পালাতে থাকে। এসময় হানিফের নির্দেশে আসামি আতার হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে আমার ছেলে আব্দুল্লাহ’র বুকে গুলি করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া কাটাইখানা মোড়ের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম রাহুল পারভেজের দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, রবিউল ইসলাম রাহুল পারভেজ ও আশরাফুলসহ বেশ কয়েকজন গত ০৫ আগস্ট সোমবার সারাদেশের ন্যায় ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে বকচত্বর এলাকায় অবস্থান করেন। এসময় আসামিরা তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। তারা পালাতে থাকলে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া দেয়। আদ্ব-দীন হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে আসামিরা আশরাফুলকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় থাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
এ মামলায় ৯২ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এছাড়াও একই দিনে একই ঘটনায় নিহত কুষ্টিয়ার হরিপুর এলাকার বাসিন্দা বাবু হত্যার দায়ে মডেল থানার আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতাকে প্রধান আসামি করে ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন রাইসুল হক