স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই জনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, এটি কীভাবে রোধ করা যায়—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কাল দেখলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যা হয়েছে। তারা তো সবচেয়ে শিক্ষিত, তাদের সচেতনতা আসতে হবে। একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।’
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘একজন অন্যায় করলে আইনের হাতে তাকে তুলে দেন। নিরপরাধ লোক যেন কোনো অবস্থায় হেনস্তা না হয় জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।’
এছাড়া, শুধুমাত্র ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম মামলায় দেয়ার অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ শুধু যারা দোষী তাদের নাম দেন। অন্যদের নাম দিয়েন না। অন্যদের নাম দিলে তদন্ত করতে সময় বেশি যাচ্ছে এবং অনেক সময় নিরীহ লোকও যেন হেনস্তা না হয় এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে দায়ের করা মামলাগুলোয় বিপুল সংখ্যক আসামি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এখন পুলিশ মামলা করছে না, করছে সাধারণ জনগণ।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে পুলিশ মামলা দিতো, এই সময়ে কোনো পুলিশ একটা মামলা দিয়েছে? আগে পুলিশ ১০ জনের নাম দিয়ে ১০০ জনের নাম দিতো অজ্ঞাত। আজ পর্যন্ত কিন্তু পুলিশ (মামলা) দিচ্ছে না। এটা কিন্তু সাধারণ পাবলিকরা দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মিডিয়াতেও বলছি, পেপারে দিয়েছি যে সাধারণ লোক যেন হেনস্তা না হয়। তদন্ত ছাড়া কাউকে এরেস্ট করা হবে না। ডিবিকে আজকেই নির্দেশনা দিয়েছি। পরিচয় তারা নিজেরা দেবে, তারপর ধরবে। এখানে ধরার কথা শুধু অপরাধীদের সাধারণ মানুষদেরকে তো ধরবে না।’