সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও তার স্ত্রী দিলশাদ নাহার কাকলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ
জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দিয়েছেন। এ সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাকারিয়া আবেদনে উল্লেখ করেন, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার করে মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে ব্যবসা পরিচালনা ও বাড়ি ক্রয়ের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্তসূত্রে দুদক জানতে পারে, তারা দেশত্যাগের চেষ্টায় রয়েছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশগমন রহিত করা প্রয়োজন।
ডাকের মহাপরিচালক শুধাংশু শেখরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা: এদিকে দুদকের মামলায় ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক শুধাংশু শেখর ভদ্রের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। ডাক বিভাগের ‘পোস্ট-ই-সেন্টার’ প্রকল্পের সার্ভার ও ইউপিএস কেনায় ১৫ কোটি টাকার অনিয়ম করার অভিযোগে দুদকের মামলায় সাবেক মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক শুধাংশু শেখর ভদ্রের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নাজির আকন্দ নাকিব। আদালত তা মঞ্জুর করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ডাক বিভাগের ‘পোস্ট-ই-সেন্টার’ শীর্ষক প্রকল্পের বরাদ্দ করা ১৫ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকায় ৫০০টি এইচইপি সার্ভার ও ইউপিএস কিনে তা ব্যবহার না করে, সরকারি অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৯-এর ২৩ ধারা লঙ্ঘনপূর্বক সরকারি অর্থের অপব্যবহার করেছেন আসামি।
এ ছাড়া ফেনী-২ আসনের সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, তার স্ত্রী নূরজাহান বেগম ও বগুড়া-৫ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান এবং তার ছেলে আসিফ ইকবালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান চলমান থাকায় এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।