ইভ্যালির কাছে গ্রাহকদের সবার পাওনাই পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির সিইও মোহাম্মদ রাসেল। একইসাথে তিনি বলেছেন, পুরাতন গ্রাহক ও মার্চেন্টদের লেনদেন কিংবা অর্ডার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দুমাসের মধ্যে ইভ্যালির নতুন অ্যাপের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হবে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ইভ্যালির কাছে সাধারণ গ্রাহক এবং মার্চেন্টরা সব মিলিয়ে ৫০০ কোটি টাকা পাবেন। এর মধ্যে সাধারণ গ্রাহকরা ৩৫০ কোটি টাকা, আর মার্চেন্টরা পাবেন ১৫০ কোটি টাকা। সবার পাওনাই পরিশোধ করা হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের কারণে ‘বিগ ব্যাং’ অফারের আওতায় গ্রাহকদের কাছে পণ্য পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়েছে। কিন্তু কোনো অর্ডার ফেইল করেনি। অর্থাৎ কেউ পণ্য পায়নি এমন অভিযোগ নেই।
ইভ্যালির এ কর্ণধার বলেন, গুণগত মানের কারণে গ্রাহকের কোনো পণ্য পছন্দ না হলে সরাসরি ফেরত নেবে ইভ্যালি। এ ক্ষেত্রে কুরিয়ার চার্জসহ সম্পূর্ণ অর্থ গ্রাহককে ফেরত দেওয়া হবে। ইভ্যালির নিবন্ধিত কোনো সেলারের পণ্য গুণগত মানে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করে হইচই ফেলে দেন মো. রাসেল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ইভ্যালি।
কিন্তু ঋণের বোঝাও বেড়ে যায় তাদের।
অভিযোগ আছে, দেশি-বিদেশি কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান মিলে ইভ্যালিকে থামানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে। মোটা অঙ্কের বরাদ্দও করে তারা। একপর্যায়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করা হয় রাসেলকে।
কিন্তু রাসেলকে গ্রেপ্তারে হতাশ হন প্রতিষ্ঠানটির লাখ লাখ গ্রাহক। তারা ইভ্যালির ব্যবসা চালুর জন্য আন্দোলন শুরু করেন। রাসেলকে মুক্তি দিতে ২০ হাজারের বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন।
এর মধ্যে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন রাসেল ও তার প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তবে তার স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছেন।