খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ২১ জন শিক্ষার্থীকে লালনশাহ হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) লালনশাহ হলের প্রভোস্ট মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া স্বাক্ষরিত আদেশে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন সাফায়েত সাইমুম, নিলান খালেক পারাবার, আব্দুল্লাহ্ ইবনে জয়নাল, শাহরিয়ার ফেরদৌস ওশান, শাহনেওয়াজ পারভেজ শুভ, তৈয়ব ইযাসির নিলয়, জুনায়েত হক সরকার, জুবাইদুর হোসেন নাঈম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আদনান ইসলাম (শামস), তাহমিদুল হক ইশরাক, মিনহাজুর রহমান আবরার, ফজলে রাব্বি, সাদিক বিন ফারুক, আবির হাসান, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, অমিত কুমার ঘোস, অরিত্র দেবনাথ পৃথু, মেফতাউল মাহমুদ, সুদীপ্ত তালুকদার ও মিজানুর রহমান (মুহাসিন)।
একই সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
জানা যায়, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল। এর মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীল সিংহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। রবিবার রাতে হলের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
লালনশাহ হলের প্রভোস্ট মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া বলেন, কিছু ছাত্র হলের বাইরে ছিল। তারা রবিবার রাতে হলে উঠতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ ছাত্রকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।