কুষ্টিয়া-৪ আসনে (কুমারখালী) নৌকায় ভোট দেয়ায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের হামলায় গুলিবিদ্ধ জিয়ার হোসেন (৪৫) মারা গেছেন। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহতের ছোট ভাই ইয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নিহতের আরেক ভাই আলতাফ হোসেন। তারা উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া গ্রামের মৃত কেঁদো শেখের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় আবারো উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নৌকার সমর্থকরা ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করছে বলে স’ানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রউফ।
মুঠোফোনে নিহতের ছোট ভাই ইয়ারুল জানান, নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে ১২ই জানুয়ারি সকালে সাবেক মেম্বর খালেক ও তার তিন ছেলে রিপন, লিটন, শিপনসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী তার দুই ভাইকে গুলি করে আহত করে। তার মধ্যে জিয়ার মারা গেছেন। তার দাবি, নৌকায় ভোট দেয়ার কারণেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষরা।
এ ঘটনায় তিনি কুমারখালী থানায় মামলা করেছেন। কয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন জানান, নৌকায় ভোট দেয়ায় জিয়ারকে প্রতিপক্ষের (ট্রাক মার্কা) লোকজন গুলি করেছিল। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ বিষয়ে জানতে খালেক মেম্বর ও তার ছেলে রিপন আলীর ফোনে কল দিলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম জানান, মৃত্যুর খবর তিনি শুনেছেন। হামলার ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।