পাকিস্তানে রাজনীতির বোমা ফাটালেন মাওলানা ফজলুর রেহমান এতদিন ইমরান খান যে অভিযোগ করে এসেছেন, এবার তিনিও সেই সুরে সুর মিলালেন। বললেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল জাভেদ কমর বাজওয়ার নির্দেশনায়। তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের বিরোধী ছিলাম। নিয়মের ভিতরে থেকে যা করা যায় আমি তাই করেছি। যদি এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু করতো এস্টাবলিশমেন্ট তাহলে ৯ই মে’র সহিংসতার বিষয়টিকে দাফন করা যেতো।
উল্লেখ্য, ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধী দলগুলোর যে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) গড়ে ওঠে তার মূল কারিগর হিসেবে দেখা হয় জমিয়তে উলেমায়ে ইসলাম- ফজলের (জেইউআইএফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমানকে। শুধু তা-ই নয়, তিনি বিরোধীদের এই জোটের চেয়ারম্যানও ছিলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।
এবার নির্বাচনের পর সরকার গঠন করছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) ও পাকিস্তান পিপল্স পার্টি (পিপিপি)। তাতে জেইউআইএফ’র ডাক পড়েনি। তবে কি এজন্যই মাওলানা ফজল এমন সুরে কথা বলছেন! তিনি যোগ দিয়েছেন ইমরান খানের পিটিআই’র সঙ্গে বিরোধী শিবিরে।
বৃহস্পতিবার পিটিআই’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে তার। এ সময় পিটিআই’র আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তখনই তিনি সত্য প্রকাশ করেছেন।
বলেছেন, ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান জাভেদ কমর বাজওয়া। তখন গঠিত পিডিএম’র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে মাওলানা ফজল বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি অনাস্থা ভোটের বিরুদ্ধে ছিলাম। অন্য দলগুলো যে ঘটনা ঘটাচ্ছে তার মধ্যে আমি আমার মত জানাতে পারিনি। তাহলে বলা হতো আমি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে সেভ করছি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ইমরান খানের পিটিআইকে ক্ষমতাচ্যুত করে পিডিএম। এরপর শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বে বিরোধীদলীয় জোট ওই পার্লামেন্টের বাকি মেয়াদ ১৬ মাস দায়িত্ব পালন করে। তারপর ক্ষমতা হস্তান্তর করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে।