এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বৈঠকের পর বৈঠক। শেষ পর্যন্ত দৃশ্যত পাকিস্তানে রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান হতে চলেছে। মঙ্গলবার পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শেষে কেন্দ্রে সরকার গঠনে একমত হয়েছে। সে অনুযায়ী সরকারের কোন পদ কে পাবেন সেই ভাগাভাগিও প্রাথমিক পর্যায়ে সম্পন্ন হয়েছে। সে অনুযায়ী পিপিপির সহসভাপতি আসিফ আলি জারদারি হবেন আগামী প্রেসিডেন্ট। পিএমএলএনের প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরীফ হবেন প্রধানমন্ত্রী। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। জাতীয় পরিষদের স্পিকারের পদ দেয়া হয়েছে পিএমএলএনকে। ডেপুটি স্পিকার পদ পাবে পিপিপি। এ ছাড়া সিনেট চেয়ারম্যান বানানো হবে পিপিপির প্রার্থীকে।
এর ডেপুটি চেয়ারম্যান করা হবে পিএমএলএন থেকে। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে রাজধানী ইসলামাবাদে জারদারি হাউসে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন দুই দলের নেতারা।
সেখানে পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেন, কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠনের জন্য পিএমএলএন এবং পিপিপির যথেষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। সেই সরকারে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেয়া হবে পিএমএলএনের শেহবাজ শরীফকে। একইভাবে পিপিপির নেতা আসিফ আলি জারদারি প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের জন্য প্রার্থী হবেন। তবে জাতীয় পরিষদের স্পিকার এবং সিনেট চেয়ারম্যান কাদেরকে বানানো হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন বিলাওয়াল। বলেছেন, আরও আলোচনার পর এসব বিষয়ে জানানো হবে। পিপিপির প্রধান বিলাওয়াল দ্রুততার সঙ্গে পিএমএলএন নেতা ইশহাক দারের বাসায় যান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শেহবাজ শরীফ। তিরিশ মিনিট তাদের মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ার পর জারদারি হাউসের উদ্দেশে রওনা দেন। এরপরই মিডিয়ার সামনে আলোচনার বিস্তারিত জানানো হয়।
তবে ভিতরের সূত্রগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে ডন বলেছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদে যোগ দেবে না পিপিপি। জাতীয় পরিষদের স্পিকারের পদও যাবে পিএমএলএনের দখলে। দুই দলের মধ্যে এমনই আলোচনা হয়েছে। তারা আরও দাবি করেন সিনেট চেয়ারম্যান পদ পাবে পিপিপি। সিনেটর ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি হতে পারেন এর নতুন চেয়ারম্যান। অন্যদিকে খাইবার পখতুনখাওয়া এবং পাঞ্জাবের গভর্নর পদ পেতে পারে পিপিপি। সূত্রগুলো বলেছেন, পিএমএলএন এবং পিপিপি যৌথভাবে বেলুচিস্তানে সরকার গঠন করবে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রার্থী হতে পারেন সরফরাজ বুগতি।