বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি করেছে এবি পার্টি। আজ দুপুরে বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যের উপর্যুপরি মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে দলটি। এসময় দলটির নেতারা বলেন, দুর্ঘটনাজনিত আগুন লাগলে সরকার আগুন নেভাতে পারে না, মানুষ বাঁচাতে পারে না, তারা সিন্ডিকেট বাণিজ্য করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে মানুষ মারতে পারে। দেশের জনগণের টাকায় যত ছোট উন্নয়নই হোক না কেন তার কৃতিত্ব নিতে প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কৃতিত্ব যদি ওনার হয় এই সকল ব্যর্থতার দায়ও প্রধানমন্ত্রীর। এতোগুলো মানুষ মারা যাওয়ার পর রাজউকসহ অন্যান্য তদারকি সংস্থা সমূহ বিবৃতি দিচ্ছে এটার অনুমোদন ছিলোনা ওটার অনুমোদন ছিলো না। প্রশ্ন হলো- অনুমোদন ছাড়া বেইলি রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এতদিন ধরে ব্যবসাগুলো চলছে কিভাবে? তবে কি সব কমিশনখোরদের উপর ভর করেই এই রাষ্ট্র চলছে?
এবি পার্টির নেতারা আরো বলেন, ক্যাপাসিটি চার্জের নামে একটি নির্দিষ্ট সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিতেই একের পর এক বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে এই আওয়ামী বাকশালি সরকার। এই লুটপাটকে যেন কেউ চ্যালেঞ্জে করতে না পারে সেই জন্যই ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছে।
তারা সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ইনডেমনিটি দিয়ে যেভাবে অতীতে অনেকেই রক্ষা পায়নি আপনারাও এই লুটেপাটের দায় থেকে রেহাই পাবেন না।
এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টন সহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, হাদিউজ্জামান খোকন, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমেনা বেগম, রিপন মাহমুদ, মশিউর রহমান মিলু, শরন চৌধুরী, এনামুল হক, যুবপার্টি মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, উত্তরের সদস্যসচিব শাহীনুর আক্তার শীলা, এবি পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, ছাতপক্ষের সহকারী সদস্য সচিব হাসিবুর রহমান খান সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।