গেল এপ্রিল মাস জুড়েই ছিল গরমের দাপট। ৩১শে মার্চ থেকে শুরু হওয়া টানা দাবদাহের মধ্যে ৩০শে এপ্রিল যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাধীনতার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এপ্রিলের রেশ এখনো চলছে। তবে এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বৃষ্টি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়বে। এতে ক্রমে কমবে তাপপ্রবাহ, স্বস্তি ফিরবে জনজীবনে। একইসঙ্গে মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। এ ছাড়া মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মে মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে ৩ থেকে ৫ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় এবং ২ থেকে ৩ দিন তীব্র কালবৈশাখীর আভাস রয়েছে। আবহাওয়াবিদ আজিজুর রহমান বলেন, এ মাসে দেশের কোথাও কোথাও ১ থেকে ৩টি মৃদু অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ বা ২টি লঘুচাপ হতে পারে। যার মধ্যে একটি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
চলতি মাসে নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ থাকতে পারে। তবে উজানে ভারী বর্ষণের ফলে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও পানি বিপদসীমার উপরে যেতে পারে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। তাতে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদ-নদীতে পানি বিপদসীমার কাছাকাছি উঠে আসতে পারে।