রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে ভিডিও রাখতে বলেছিলেন, ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলবে ব্রাজিল। তবে দলটির কোচের মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই প্যারাগুয়ের মাঠে হারতে হলো। আর তাতে এখন আগামী বিশ্বকাপে খেলার পথটাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
বাংলাদেশ সময় আজ সকালে প্যারাগুয়ে মাঠে ১-০ গোলে হেরেছে ব্রাজিল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সবশেষ পাঁচ ম্যাচে এটি তাদের চতুর্থ হার। এদিন শুরুতেই ধীরে খেললেও বল দখলে এগিয়েই ছিল ব্রাজিল। ২০০৮ সালের পর ব্রাজিলের বিপক্ষে এটাই প্রথম জয় প্যারাগুয়ের। ম্যাচে ৭১ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ৯ শট নিয়ে কেবল তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। এর বিপরীতে প্যারাগুয়ের ৭ শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে।
আট ম্যাচে তৃতীয় হারের পর ১০ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকার পয়েন্ট টেবিলে পাঁচে নেমে গেছে ব্রাজিল। গোল পার্থক্যে তাদের চেয়ে পিছিয়ে ছয়ে আছে ভেনেজুয়েলা। ৯ পয়েন্ট নিয়ে পরের দুটি স্থানে আছে বলিভিয়া ও প্যারাগুয়ে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় আর্জেন্টিনা। তাদের হারিয়ে ব্যবধান কমিয়েছে কলম্বিয়া (১৬)। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে টানা দুটি ড্র করা উরুগুয়ে। ১১ পয়েন্ট নিয়ে চারে একুয়েডর।
মূলত ব্রাজিলের আক্রমণ ভাগের সবাই ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। তিন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো ও এন্দ্রিকের খেলায় ছিল না তেমন কোনো সমন্বয়। ম্যাচের ২০তম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। হেডে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো বিপদ বাড়ান গাব্রিয়েল মাগালিয়াইস। ডি বক্সের বাইরে বল পেয়ে জোরাল শটে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন দিয়েগো গোমেস।
পাঁচ মিনিট পর দারুণ পাল্টা আক্রমণে সুযোগ পেলেও সেটা হাতছাড়া হয় ব্রাজিল। ভিনিসিউসের কাটব্যাকে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে দূরের পোস্টে শট নেন গিলিয়াহমে আরানা। কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের। কিন্তু গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে দেন ডিফেন্ডার ওমার আলদেরেতে।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই সুযোগ আসে রদ্রিগোর সামনে। মার্কিনিয়োসের থ্রু বল ধরে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন তরুণ মিডফিল্ডার। কিন্তু তিনি পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে মারেন ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে। ৬৬তম মিনিটে অ্যালিসন বেকার বিপদ থেকে বাচানো ৭ মিনিট পর ভিনিসিউসের দারুণ বাঁকানো শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রুখে দেন প্যারাগুয়ে গোলরক্ষক।