আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার পরও কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে কষ্টসাধ্য জয় পেয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। জেলার বাকি পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগ ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। জামানত হারিয়েছেন ভোটের মাঠে আলোচিত প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন।
কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। তিনি পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৩৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এমপি লিপি’র বড় ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৬২ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে ২০ হাজার ৬০৭ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন (ঈগল)। তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৫৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাহার আকন্দ (নৌকা) পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৩২ ভোট। অন্যদিকে এ আসনের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান রঞ্জন পেয়েছেন ১৬ হাজার ১৯৯ ভোট।
এ আসনের দুই উপজেলায় ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২টি ভোট গৃহিত হয়েছে। এ হিসেবে আখতারুজ্জামান রঞ্জন তার জামানত হারিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মুজিবুল হক চুন্নু। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৫৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক এডিসি মেজর (অব.) নাসিমুল হক পেয়েছেন ৪২ হাজার ২৩৫ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৮ হাজার ৭৩৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ আবু ওয়াহাব (লাঙ্গল) ২ হাজার ৭৩৫ ভোট পেয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আফজাল হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৫৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা সুব্রত পাল (ঈগল) পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৭৬৩ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-৬ (কুলিয়ারচর-ভৈরব) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী মো. রুবেল হোসেন (মোমবাতি) পেয়েছেন ৩ হাজার ২০৬ ভোট।