একই ব্যক্তির হাতে একাধিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিকানা থাকতে পারবে না, টেলিভিশন কিংবা পত্রিকার মধ্যে বেছে নিতে হবে যে কোনো একটি। আর প্রতিষ্ঠান যদি বড় বা মধ্যম মানের হয় তাহলে তা করতে হবে পাবলিক লিস্টেড কোম্পানি।

শনিবার এসব সুপারিশসহ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।

পরে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, “আমরা ক্রস ওনারশিপ বন্ধেরও প্রস্তাব করেছি। এর বদলে ‘ওয়ান হাউজ, ওয়ান মিডিয়া’ করার প্রস্তাব জানিয়েছি আমাদের সুপারিশে।”

কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, গণমাধ্যমে কালো টাকা ঢুকেছে। মালিকানার কারণেই গণমাধ্যমে জবাবদিহি নেই। গণমাধ্যম শিল্পের সংকটের পেছনে মালিকদের ভূমিকাই বড়।

এছাড়াও সাংবাদিকতায় প্রবেশে নূন্যতম বেতন বিসিএস নবম গ্রেডের মতো এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক করার সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।

সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, মিডিয়া কমিশন গঠন, অপতথ্য ও ভুয়া তথ্য বন্ধে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্যাক্ট চেকিং ডেস্ক চালুসহ ২০ দফা সুপারিশ জানানো হয়েছে।

দুপুরে কমিশন সদস্যরা রিপোর্ট জমা দেয়ার পর তাদের সাথে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কাছ থেকে পাওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনি বাস্তবায়নযোগ‍্য সেগুলো অবিলম্বে কার্যকর করার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোগ নেবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।

গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করতে গত বছরের নভেম্বরে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here