ভারতের সামরিক হামলার পর পাকিস্তানের রাজনীতিতে বিরল ঐক্য দেখা গেছে। সরকার ও বিরোধী দলগুলো একসঙ্গে সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা জবাবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের নয়টি স্থানে হামলা চালায় ভারত। এর ফলে কমপক্ষে ২৬ নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এরপরই পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দলের নেতা একসুরে কথা বলছেন। অবশ্য তারা ২২শে এপ্রিলের পর ভারতের অভিযোগের জবাবে একই সুরে এতদিন কথা বলে আসছিলেন। 

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতের হামলার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেহাবাজ শরীফ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই কাপুরুষোচিত হামলা বরদাশত করা হবে না। এক্সে বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই জঘন্য আগ্রাসনের শাস্তি হবেই। পাকিস্তান এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার রাখে এবং সেই জবাব ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে সেনাবাহিনীর পাশে রয়েছে। আমাদের মনোবল অটুট। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সমবেদনা ও সেনাদের জন্য প্রার্থনা করছি। 

বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি বলেন, ভারতের হামলা ‘নারী ও শিশুদের উপর বর্বরতা’, ‘যুদ্ধের সামিল’ এবং ‘সামরিক সাহসিকতা নয়, পশুত্ব’। তিনি ঘোষণা করেন- প্রত্যেক আগ্রাসন চূর্ণ হবে। পাকিস্তান কোনোভাবেই সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন মেনে নেবে না। 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ নেতা ওমর আয়ুব বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফ্যাসিস্ট সরকার কেবল শক্তির ভাষাই বোঝে। পাকিস্তান বিমান বাহিনী ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে প্রমাণ দিয়েছে- আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে এর ফল ভোগ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, পিটিআই দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশের প্রতিরক্ষায় নিয়োজিতদের পাশে আছে। 

পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর আমির হাফিজ নঈমুর রহমান বলেন, ভারত আবারও রাতের অন্ধকারে কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে। আগেও আমরা দিনের আলোতে জবাব দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ এবারও যথাযথ জবাব দেওয়া হবে। ভারতকে শিক্ষা দেওয়া অনিবার্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here