ভারতীয় বাহিনীর চালানো সামরিক অভিযানের জবাবে পাকিস্তানের আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল শরীফ আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, পাকিস্তান প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং প্রয়োজনে আবারও জানাবে। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে ভারতের হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছে। পাকিস্তান এয়ার ফোর্স-এর সব বিমান ও সামরিক স্থাপনাগুলো নিরাপদ আছে। তিনি আরও দাবি করেন, পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা বাহিনী ভারতীয় ৫টি বিমান ও ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ। জেনারেল শরীফ ভারতের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের নীলম-ঝেলম হাইড্রো পাওয়ার প্রকল্পের নোসেরি বাঁধে হামলা করেছে। তিনি এ হামলাকে ‘জলসম্পদকে কেন্দ্র করে বিপজ্জনক এক উসকানি’ বলে অভিহিত করেন। প্রশ্ন রাখেনÑ ভারত কি বুঝে শুনেই পাকিস্তানের জনগণের পানির উৎসকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়? আন্তর্জাতিক আইন ও যুদ্ধের নিয়ম অনুযায়ী, কি কোনো দেশের বাঁধ, জলাধার বা বিদ্যুৎ প্রকল্পে হামলা বৈধ? তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কাজ শুধু আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থীই নয়, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। আইএসপিআর জানায়, ভারতীয় হামলায় বিভিন্ন মসজিদ ও আবাসিক এলাকায় বেসামরিক লোকজন হতাহত হয়েছেন। এ বিষয়ে তারা বলেছে, আহমেদপুর ইস্টে মসজিদ সুভানআল্লায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুটি সাত বছরের মেয়ে শিশু, ৭ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ রয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৭ জন। এর মধ্যে ৯ জন নারী। মুজাফফরাবাদে মসজিদ বিলাল লক্ষ্য করে হামলায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে। কোটলিতে মসজিদ আব্বাসে হামলায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী ও ১৮ বছরের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক মা ও তার মেয়ে। মুরিদকে’তে একটি মসজিদে হামলায় ৩ জন পুরুষ নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। সিয়ালকোট ও শাকারগড়ে ক্ষয়ক্ষতি নেই। শাকারগড়ে একটি ডিসপেনসারিতে সামান্য ক্ষতি হয়েছে।