দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর পরই শতাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে তোলপাড় সৃষ্টি করে দেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তার পর একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে তিনি। তবে এবার রাজনৈতিক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার কাছে পরাজিত ডেমোক্রেট প্রার্থী কমালা হ্যারিস, হিলারি ক্লিনটন ও সাবেক শীর্ষ স্থানীয় বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তার নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স। এই তালিকায় আছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, রিপাবলিকান সাবেক আইনপ্রণেতা লিজ চেনি, এডাম কিনজিঙ্গার, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের রাশিয়া বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা ফিওনা হিল প্রমুখ। আরও নাম আছে জ্যাক সুলিভান, লিসা মোনাকো, মার্ক জায়েদ, নরম্যান আইজেন, লেতিতিয়া জেমস, আলভিন ব্রাগ, অ্যানড্রিউ উইসম্যান এবং আলেকজান্দার ভিন্দম্যান। ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স বাতিল করছেন। সর্বশেষ ঘোষণায় তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, বাইডেন পরিবারের যেকোনো সদস্যেরও নিরাপত্তা ক্লিয়ান্সে বাতিল করছেন তিনি। এ বিষয়ে এক স্বারকে ট্রাম্প বলেন- আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিরা গোপনীয় (বা ক্লাসিফায়েড) তথ্য জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আর পাবেন না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
উল্লেখ্য, ডেমোক্রেট জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তখনকার (সাবেক) প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে বেশ কয়েকটি মামলায় আদালতে দৌড়াতে হয়েছে। কোনো কোনো মামলায় তাকে অভিযুক্ত করে জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু দিন বদলে গেছে। এখন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট। জো বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। ফলে তার ওপর কি ট্রাম্প ওই সব হয়রানির বদলা নিচ্ছেন! বিশ্লেষকদের অনেকেই তেমনটা মনে করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টরা এবং শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সৌজন্যবশত নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স পেয়ে থাকেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনের পক্ষে কাজ করেছিলেন এমন অভিযোগে এর আগে কমপক্ষে চার ডজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স তুলে নেন ট্রাম্প। এখানে উল্লেখ্য, পরাজিত প্রার্থী ট্রাম্পের তখনকার ক্ষুব্ধ আচরণের কথা উল্লেখ করে তাকে গোয়েন্দা ব্রিফিং সুবিধা বাতিল করেন জো বাইডেন ২০২১ সালে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here