ভারতীয় সেনা আধিকারিক কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রসঙ্গে কু-মন্তব্যের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। তিন সদস্যের সিটে রয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ প্রমোদ বর্মা, ডেপুটি ইনসস্পেক্টর জেনারেল কল্যাণ চক্রবর্তী এবং পুলিশ সুপার বাহিনী সিং।

‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী সময়ে কর্নেল সোফিয়ার প্রসঙ্গে কু-মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিজয় শাহের বিরুদ্ধে। অপারেশন সিন্দুর চলাকালীন প্রতিদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেন ভারতীয় সেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিজয় শাহ সোফিয়াকে ‘সন্ত্রাসবাদীদের বোন’ বলে বসেন। একইসঙ্গে কর্নেলের ধর্ম পরিচয় নিয়েও বিজেপি সরকারের মন্ত্রী একাধিক আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়।

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিজয়ের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিজয়। ওই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক ছড়ানোর পর ক্ষমা চেয়েছিলেন মন্ত্রী। তবে আদালত তা গ্রহণ করেনি। মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীকে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট কড়া ভাষায় বলেছে, ‘কুমিরের কান্না কাঁদবেন না।’ মন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার ধরনকেও আন্তরিক বলে মনে করছে না আদালত।

কর্নেল সোফিয়ার প্রসঙ্গে ওই মন্তব্যের জন্য মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশ সরকারের কাছে জানতে চায় আদালত। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের জন্য পুলিশকে একটি সিট গঠনের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে সিট গঠন করতে হবে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর সোমবার রাতেই সিট গঠন করে ফেলে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। আদালতের নির্দেশের পরই মধ্যপ্রদেশ পুলিশের ডিজি কৈলাস মাকওয়ানা সিট গঠনের নির্দেশিকা জারি করেন। সিনিয়র আইপিএস আধিকারিক প্রমোদ বর্তমানে সাগর রেঞ্জে আইজি পদে কর্মরত। আইপিএস কল্যাণ বর্তমানে ভোপালে ডিআইজি পদে রয়েছেন। আইপিএস বাহিনী মধ্যপ্রদেশের দিনদোরি জেলার পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।

সূত্র: দ্য হিন্দু

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here