ভারতের হামলায় পাকিস্তানে এ পর্যন্ত ২৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪৬। এর মধ্যে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, তার ছোট ভাই ও পাকিস্তানি সেনাকর্মকর্তার ৭ বছরের সন্তানের মৃত্যু উল্লেখযোগ্য। জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত, একটি ড্রোন ও একটি বিগ্রেড হেড কোয়ার্টার ধ্বংস করেছে পাকিস্তান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ। কোটলিতে আব্বাস মসজিদের কাছে একটি বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এতে প্রাণ হারান ২২ বছর বয়সী মিসবাহ কওসার ও তার ছোট ভাই ওমর মুসা। মিসবাহ কোটলি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র ছিলেন। পৃথক আরেকটি হামলায় লেফটেন্যান্ট জেনারেল জহির আব্বাসের ৭ বছরের ছেলে ইরতিজা আব্বাস নিহত হন।
ভাওয়ালপুর ও মুরদিকসহ অন্য শহর গুলোতে ভারতীয় হামলায় নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় অনেক মানুষ সমবেত হন। মুজাফফারবাদে ৮০ বছর বয়সী মুহাম্মদ ইয়াকুবের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মিসবাহ কওসার ও তার ভাইয়ের জানাজা হয়েছে নাকইয়ালে। আজাদ কাশ্মীরের মন্ত্রী, আইনপ্রণেতা, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন। জানাজার পর ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তারা ভারতের আগ্রাসনের সমালোচনা করে একে ‘কাপুরুষোচিত’ হামলা বলে অভিহিত করেছেন। এক কর্মকর্তা বলেন, এগুলো নিষ্ঠুর ও অমানবিক কার্যক্রম। যা পুরো রাষ্ট্রকে নাড়িয়ে দিয়েছে।