উচ্চ খরচের কারণে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী অভিবাসীদের নির্বাসনে পাঠাতে সামরিক বিমান ব্যবহার বন্ধ করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ডব্লিউএসজে) রিপোর্ট করেছে যে, শেষ সামরিক নির্বাসন ফ্লাইটটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ মার্চ তারিখে পাঠানো হয়েছিল। সামরিক বিমানের ব্যবহারের ওপর স্থগিতাদেশ বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি দীর্ঘায়িত হতে পারে। ট্রাম্প জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই আমেরিকা কিছু অভিবাসীকে তাদের নিজ দেশে বা গুয়ানতানামো বেতে একটি সামরিক ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য সামরিক বিমান ব্যবহার শুরু করে।
‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ জানিয়েছে, আমেরিকার সামরিক বিমান সি-১৭ (গ্লোবমাস্টার) এবং সি-১৩০ ব্যবহার করে ভারত, গুয়েতেমালা, ইকুয়েডর, পেরু, হন্ডুরাস-সহ বিভিন্ন দেশে অবৈধবাসীদের ফেরত পাঠিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন। এর মধ্যে বেশ কিছু দেশে সামরিক বিমান পাঠানোয় তুলনামূলক বেশি খরচ হয়েছে আমেরিকার। দেখা গেছে যে শুধুমাত্র ভারতে তিনটি নির্বাসন ফ্লাইটের প্রতিটিতে ৩মিলিয়ন ডলার করে খরচ হয়েছে প্রশাসনের।
গুয়ানতানামোতে যাওয়ার ফ্লাইট, যেখানে মাত্র এক ডজন লোককে পাতানো হয়েছিল, প্রতি অভিবাসীর জন্য কমপক্ষে ২০ হাজার ডলার করে খরচ হয়েছে। সরকারী তথ্য দেখায় যে, একটি স্ট্যান্ডার্ড ইউএস ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট ফ্লাইটে প্রতি ঘন্টায় ৮৫০০ ডলার খরচ হয়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট মোতাবেক, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য প্রতি ফ্লাইটে ঘন্টায় এই সংখ্যাটি পৌঁছে যায় ১৭ হাজার ডলারের কাছাকাছি। কিন্তু, একটি C-17 বিমানের উড্ডয়নের খরচ প্রতি ঘন্টায় ২৮৫০০ মার্কিন ডলার। এটি ভারী মালপত্র এবং সৈন্য বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ব্যয়বহুল হবার পাশাপাশি C-17 গুলিকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। কারণ তারা মেক্সিকোর আকাশসীমা ব্যবহার করছে না, ফলে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার রুট ব্যবহার করার জেরে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কয়েক ঘন্টা বেশি সময় লাগছে। মেক্সিকো, কলম্বিয়া এবং ভেনিজুয়েলা সহ ল্যাটিন আমেরিকার কিছু দেশ মার্কিন সামরিক ফ্লাইটগুলোকে তাদের অঞ্চলে অবতরণের অনুমতি দেয়নি এবং পরিবর্তে তাদের নিজস্ব বিমান পাঠিয়েছে বা বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নির্বাসিতদের আনার ব্যবস্থা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে অবৈধবাসীদের বিতাড়নের জন্য পেন্টাগনের সামরিক বিমান ব্যবহার আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াইট হাউস।
সূত্র : এনডিটিভি