কাতারে তাদের নাগরিকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। কাতারের মার্কিন দূতাবাস অনলাইনে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, ‘সতর্কতার অংশ হিসেবে’ এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে যে, তারাও নাগরিকদের একই পরামর্শ দিচ্ছে। শনিবার ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বোমা হামলার পর পররাষ্ট্র দপ্তর বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের “আরও সতর্কতা অবলম্বন” করার নির্দেশ দেওয়ার পর এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কারণ ইরান প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। 

এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে বেশ কয়েকটি দেশ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে, তবে দূতাবাসের নোটিশে নির্দিষ্ট কোনো হুমকির কথা উল্লেখ করা হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দেশের (কাতার) নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং নাগরিক, বাসিন্দা এবং ভ্রমণার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত”। মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি, আল উদেইদ বিমান ঘাঁটি কাতারে অবস্থিত। পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৮,০০০ মার্কিন নাগরিক সেখানে বাস করেন

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪০,০০০ সেনা মোতায়েন রয়েছে। মার্কিন দূতাবাসের বার্তার পরে কাতারের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের বিদেশী শিক্ষার্থীদের বাড়িতে ফিরে যেতে বলেছিল। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী। কাতার এই অঞ্চলে অস্থিরতা মোকাবেলায় আর্থিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক ভূমিকা পালনে সহায়তা করেছে বলে জানিয়েছে আমেরিকা।

সূত্র: বিবিসি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here