সস্ত্রীক ভারত সফরে আসছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। সূত্রের খবর, আগামী ২১ থেকে ২৫ এপ্রিল স্ত্রী উষাকে নিয়ে দিল্লি আসছেন তিনি। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজেরও এই মাসের শেষের দিকে ভারতে আসার কথা রয়েছে। একই সময়ে আমেরিকার দুই হেভিওয়েটের ভারত সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ভ্যান্স একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন এবং তারপর তার স্ত্রীর পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য একটি ব্যক্তিগত সফরে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তার স্ত্রী, ঊষা ভ্যান্স ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং ভারতে তার আত্মীয়স্বজন রয়েছে।

কেন্দ্রীয় বাণিজ্য দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন, ভ্যান্সের ভারত সফরের সময় ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির প্রথম পর্বের শর্তাবলী চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরের ৯০ দিনের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত রূপ নেবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি থেকে লাভবান হতে পারে ভারত ও আমেরিকা দুই পক্ষই। তবে শুল্কের প্রশ্নটা এখানে চলেই আসছে। ২ এপ্রিল তাদের বাণিজ্যিক অংশীদারদের প্রায় সকলের উপর চড়া হারে আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলা হচ্ছে, গোটা বিশ্বে শুল্কযুদ্ধ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। ছাড় পায়নি ভারতও। ভারতের উপর ২৬ শতাংশ আমদানি শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও ৯ এপ্রিল ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক স্থগিতাদেশ ভারতীয় রপ্তানিকারকদের কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা আমেরিকার সাথে বাণিজ্য আলোচনায় অনেক এগিয়ে… আগামী ৯০ দিনের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারিতেই দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে একপ্রকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ভ্যান্স-এর ভারত সফরে বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনা ঠিক পথে এগোলে আগামী তিনমাসে নানা দিক খুলে যাওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। ওই কর্মকর্তার কথায়, দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা ভার্চুয়ালি এবং নিয়মিতভাবে চলতে থাকবে।

আলোচনার অংশ হিসেবে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদলের সফরের সম্ভাবনাও রয়েছে। জেডি ভ্যান্স এই ধরনের প্রতিনিধিদলের অংশ হতে পারেন। প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত তার কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে পণ্য রপ্তানি ও আমদানির উপর নজরদারি জোরদার করতে বলেছে যাতে দেশটি পণ্য পুনঃরুট করার জন্য একটি বাহন হিসেবে ব্যবহৃত না হয়।

ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০২৪ সালে প্রায় ১২৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।

সূত্র : লাইভমিন্ট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here