রোববার রাত আটটার দিকে মেট্রোরেলের ছাদ থেকে একটি শিশুকে উদ্ধার করে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান- ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড(ডিএমটিসিএল) ও এমআরটি পুলিশ। পরে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। ওই শিশু ট্রেনের ছাদে কীভাবে উঠলো, সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ জানান, শিশুটি শাহবাগ বা আশপাশের কোনো স্টেশন থেকে উঠে আগারগাঁও স্টেশনে নামে। পরে ট্র্যাক পার হয়ে মতিঝিল অভিমুখী ট্র্যাকে গিয়ে ফের মতিঝিলের দিকে আসার জন্য ট্রেনে উঠে। সোমবার ডিএমটিসিএলের হেডকোয়ার্টার দিয়াবাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বর্ণনা দেন।
ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, শিশুটি কাওরানবাজার বা কোথাও থেকে উঠে আগারগাঁওয়ে আসে। সেখান থেকে নেমে ডান দিকে না গিয়ে দুটো ট্রেনের সংযোগস্থলের কোনো একটি জায়গা দিয়ে অপর পাশে চলে যায়। ওপাশ দিয়ে সেকেন্ডারী ট্রেন আসলে সে ছাদে উঠে যায়। দুটো বগির ফাঁক দিয়ে উঠে যায়।
ফারুক আহমেদ আরও বলেন, শিশুটি যখনই ছাদে উঠে, তখন ই সিকিউরিটি বিষয়টি জানায়। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হয়। কারণ আরও কয়জন কীভাবে আছে আমরা কেউই জানি না। দুই থেকে তিন ঘন্টা পুরো লাইনে পরীক্ষা করেছি। মানুষজন বলেছিলো আরও দুই থেকে তিনজন ছিলো। ওটার উপর ভিত্তি করে আমরা ট্রেন চালাতে পারিনা। সকালবেলা সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গেও আমরা পুরো ট্র্যাক ফিজিক্যালী চেক করি। যাতে কেউ আছে কিনা লুকিয়ে, অথবা কেউ কোনো কিছু করতে চাচ্ছে কিনা।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল অনেক ডিফিকাল্টিস ফেইস করছে। অপারেশন কন্টিনিউ করার জন্য আমরা সব করতে পারছি না। গণমাধ্যমকে আমরা এই কালকের ঘটনা বিষয়ে কিছু জানাইনি, কারণ জবাব দিয়ে নাগরিকদের যাতে মিসগাইড না করা হয়৷ নাগরিকরা যাতে ভয় না পায়।




