যশোরে এক নারীর দুই স্বামীকে নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি যশোরে রীতিমতো নাটকের জন্ম দিয়েছেন। গতকাল বিকালে ওই নারী ও তার ২ স্বামী যশোর কোতোয়ালি থানায় আসলে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে পড়ে। এক নারীকে নিয়ে দুই পুরুষের প্রকাশ্যে এই টানাহেঁচড়া দেখতে সেখানে ভিড় জমিয়েছিল উৎসুক জনতা। এদিকে এক নারীকে নিয়ে স্বামী দাবিদার দুই পুরুষকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। জানা যায়, ফরিদপুরের কানাইপুরের বাসিন্দা বিকাশ অধিকারীর সঙ্গে ৩৬ বছর আগে সীমা অধিকারী নামে একজন নারীর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। কিন্তু সেই সাজানো সংসার ছেড়ে সীমা অধিকারী সম্প্রতি ফরিদপুর সদরের বাসিন্দা পলাশ কুণ্ডুর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, বিকাশ অধিকারীর ঘর ছেড়ে পালিয়ে পলাশের হাত ধরে তিনি ভারতে চলে যান এবং সেখানে তারা বিয়েও করেন। এরপর গতকাল রাতে পলাশ কুণ্ডু ও সীমা অধিকারী ভারত থেকে যশোরে এসে একটি হোটেলে ওঠেন। বিষয়টি  জেনে বিকাশ অধিকারী সেই হোটেলে হানা দেন। এরপরই ত্রিমুখী এই ঝামেলা গড়ায় থানা পর্যন্ত। 

আইনি সহায়তা নিতে গতকাল বিকালে বিকাশ, সীমা ও পলাশ তিনজনই কোতোয়ালি থানায় হাজির হন। আর সেখানেই শুরু হয় চরম উত্তেজনা। তিনজনের মধ্যে হাতাহাতি একপর্যায়ে মারামারিতেও রূপ নেয়। এ সময় দ্বিতীয় স্বামী পলাশ কুণ্ডু জানান, সীমার সঙ্গে তার তিন বছরের সম্পর্ক। তারা দু’জনেই স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন এবং এখন একসঙ্গে থাকতে চান। কিন্তু তাদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিকাশ অধিকারী। এই প্রসঙ্গে সীমা অধিকারী বলেন, বিকাশের সংসারে তিনি নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতেন। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি বাধ্য হয়ে বিকাশকে ছেড়ে পলাশকে বিয়ে করেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি আর বিকাশের সঙ্গে সংসার করবেন না। প্রথম স্বামী বিকাশ অধিকারী দাবি করেন, সীমার পরকীয়ায় কারণে তাদের সাজানো সংসার ভেঙে গেছে। সীমা শুধু বাড়ি ছাড়েননি, বরং পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ টাকা ও গয়নাও নিয়ে গেছেন। তিনি সীমাকে যেকোনো মূল্যে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে চান। এই বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল জানান, ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে তারা থানা হেফাজতে আছেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here