যে কোনো সময় ইরানে সামরিক হামলা চালাতে পারে ইসরাইল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমসের এমন রিপোর্টের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কূটনৈতিক মহলে গভীর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পদক্ষেপে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। আগেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্য সহ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রত্যাহার করে নেয়া শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র। যদি ইরানে হামলা চালানো হয়, তাহলে ইরানও পাল্টা হিসেবে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করতে পারে। এর ফলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্ব পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে।
খবরে বলা হয়েছে, ইরানে ইসরাইলের সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের খবরে যুক্তরাষ্ট্র তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে তাদের সদস্যদের ইরাক থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। ইরাক থেকে মার্কিন কূটনীতিকদের আংশিক সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে অবস্থানরত মার্কিন সামরিক সদস্যদের পরিবারের স্বেচ্ছা প্রস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কয়েক মাস ধরেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপর চাপ দিচ্ছিলেন যেন ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তার মতে, এটি একটি ‘কৌশলগত সুযোগের সময়’, যখন ইরান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। ইসরাইলের সম্ভাব্য হামলার ধরন, সময় বা পরিসর এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সামরিক প্রস্তুতি দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার ষষ্ঠ দফা আগামী রবিবার ওমানে হওয়ার কথা থাকলেও, ইসরাইলি হামলার সম্ভাবনা এই আলোচনা ব্যাহত করতে পারে। ইরানের পক্ষ থেকে পূর্বেই জানানো হয়েছে, আক্রমণের মুখে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও তার সামরিক ঘাঁটিগুলোর বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরাইলের এই পদক্ষেপ যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনসহ আশপাশের অঞ্চলগুলোতেও সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারেও এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যেহেতু উপসাগরীয় অঞ্চল বিশ্বে জ্বালানির একটি বড় উৎস।