মারা যাওয়ার আগে পর্নো শিল্প সম্পর্কে হতাশাজনক অভিযোগ করে গেছেন এ শিল্পের তারকা থাইনা ফিল্ডস। সম্প্রতি পেরুর ট্রুজিলোতে বাসভবনে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ২৪ বছর বয়সী এই যুবতী পর্নো জগতে যেসব ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তা প্রকাশ্যে শেয়ার করার মাত্র কয়েক মাস পরে তিনি মারা গেছেন। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। পেরুতে সুপরিচিত পর্নো তারকা ছিলেন থাইনা ফিল্ডস। তিনি সেখানে ‘চিনিতা’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। পর্নো শিল্পে নিজেকে তিনি একজন প্রথম সারির অভিনেত্রীতে পরিণত করেছিলেন। ক্লাউন প্রোগ্রাম ‘চুপেটিত ট্রুজিলো’তে অংশগ্রহণের মাধ্যমে পেরুর বিনোদন জগতে পা রাখেন। তারপর থেকে তিনি মিলি পেরু নামের একটি প্রোডাকশন কোম্পানির সঙ্গে কাজ করেন।
কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তিনি যে মানসিক অসুস্থতা ও উদ্বেগে কাটাচ্ছিলেন তা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, এই শিল্পে আমরা যারা কাজ করি আমাদের সবারই মানসিক ক্ষত আছে। আমি ভুগছিলাম হতাশায় ও অনিয়ন্ত্রিত চিন্তাভাবনায়। বাস্তবতা মেনে নিতে পারছিলাম না। এ জন্য আমাকে ওষুধ খেতে হতো। তা নাহলে ঘুমাতে পারি না। থেরাপি এবং মেডিকেশন কিছুটা সাহায্য করেছে আমাকে।
মৃত্যুর আট মাস আগে তিনি পর্নো জগতে যৌন হয়রানির বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আমি খুব শক্তিশালী। প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কোনো মামলা করবো না। পর্নো কন্টেন্ট বানানো শুরুর পর থেকেই যৌন হয়রানি ও নানা রকম নির্যাতনের শিকার হতে লাগলাম। প্রথমেই অনেকে মনে করেছিলেন আমাকে ‘হায়ার’ করা মানেই তার যা খুশি আমার সঙ্গে তাই করতে পারবেন। তারপর আমি বাসায় ফিরে এসে গোসল সারি এবং চিৎকার করে কাঁদি। আমার সঙ্গে এটা বহুবার ঘটেছে। একজন নারী হওয়া খুবই কঠিন বিষয়। আরও কঠিন বিষয় পর্নো কন্টেন্ট তৈরি করা।