পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারারুদ্ধ ইমরান খান বলেছেন, ক্ষমতাধরদের কাছে আত্মসমর্পণ করলে আমার বিরুদ্ধে সব মামলার ইতি ঘটানো হবে। তিনি আরও দাবি করেন, পাকিস্তানে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তা নিরপেক্ষ নয়। নির্বাচন কমিশন অকার্যকর। দ্য নিউজকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ। এতে বলা হয়, পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এসব মন্তব্য করেছেন আদিয়ালা জেলে সাংবাদিকদের কাছে। শুক্রবার ওই জেলের ভিতরে ইমরানের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি হয়। ইমরান খান বলেন, ‘সাইফার ষড়যন্ত্র’ উন্মোচনের সাহস সম্পর্কে বার্তাও পাঠানো হয়েছিল। এই মামলায় গত বছর আগস্টে তাকে জেলে নেয়া হয়।
পিটিআই প্রধান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে তোষাখানা মামলা শেষ করে দেয়া হয়েছে। মরিয়ম নওয়াজ তোষাখানা থেকে একটি বিএমডব্লিউ নিয়েছেন। তবে এ সম্পর্কে ঘোষণা দেননি তিনি।
বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়েছে। ইমরান বলেন, পানামা কেলেঙ্কারি অনুযায়ী মরিয়মের চারটি ফ্লাট আছে। কিন্তু জাতীয় জবাবদিহিতা বিষয়ক ব্যুরো (এনএবি) সেই মামলাও প্রত্যাহার করেছে। তিনি আরও বলেন, এসব ব্যক্তির মামলা বাতিল করে দেয়া হয়েছে। তবে আমজাদ খান, সাদাকাত আব্বাসি ও নির্বাচনে অন্য প্রার্থীদের আটকে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে মনোনয়নপত্র পর্যন্ত জমা দিতে দেয়া হয়নি।
ইমরান আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২০০ ফৌজদারি মামলা আছে। দেশের ইতিহাসে অন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে এত সংখ্যক মামলা কখনো করা হয়নি। এ জন্য তিনি এক মামলায় জামিন পেলে অন্য মামলায় আটকে দেয়া হয়। তাই ইমরান খান দাবি করেন দেশে কোনো আইনের শাসন নেই। এ জন্য দেশে অগ্রগতি নেই।
ইমরান খান বলেন, প্রকৃত একটি স্বাধীনতার জন্য, সমাজের দুর্বল মানুষদের জন্য এবং একটি প্রকৃত গণতন্ত্রে শক্তিধরদের বিচারের আওতায় আনার জন্য লড়াই করছিল পিটিআই। তিনি আরও বলেন, দেশে জঙ্গলের আইন চলছে। তাকে ৯ই মের ঘটনায় ভিক্টিম বানানো হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেআইনিভাবে। পিটিআইকে যতটা নৃশংসভাবে ভিক্টিম বানানো হয়েছে দেশের অন্য কোন দলের সঙ্গে তা ঘটেনি।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনিরা গণহত্যার মুখোমুখি। তাদের ওপর যে নৃশংসতা চলছে বিশ্বে এর কোনো নজির নেই।