দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত শুরুটা ভালো করতে পারেনি। প্রথম রোহিত এবং এরপর সাজঘরে ফিরেন যশ্বসী জয়সোয়াল। দুই ওপেনার বিদায় নেয়ার পর হাল ধরেন শুবমান গিল এবং বিরাট কোহলি।
রোহিত ফেরার পর ক্রিজে জয়সোয়ালের সঙ্গী হন গিল। এরপর জয়সোয়ালও ফিরলে মাঠে নামেন কোহলি। দুজন মিলে দিনের শেষভাগটা দেখেশুনেই খেলছিলেন। দুজনে জুটি গড়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ৩৯ রান। তবে মিরাজের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে আউট হন কোহলি। রিভিউ নিলে অবশ্য বেঁচে যেতেন এই ব্যাটার, টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে বল প্যাডে লাগার আগে তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে গেছে।
এদিকে কোহলি ফেরার পর ক্রিজে গিলের সঙ্গী হন রিশব পন্ত। এ দুজনের ব্যাটেই দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ভারত। কোহলি ফেরার পর পর পন্তকে সঙ্গে নিয়ে স্কোরবোর্ডে আরও ১৪ রান যোগ করেছেন গিল। দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৮১ রান, লিড ৩০৮ রানের।
এর আগে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করে ওঠতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে বোলিংয়ে আসেন যশপ্রীত বুমরা। ভারতীয় এই পেসারের দিতীয় বলে দৌড়ে ২ রান নেন টাইগার ওপেনার সাদমান ইসলাম। এরপরের তিন বলে কোনো রান নেননি তিনি। তবে দেখেশুনে খেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ষষ্ঠ বলে বুমরার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্টাম্প উড়ে যায় সাদমানের। টাইগার ওপেনার ফিরেন ২ রান করে।
সাদমান ফেরার পর ক্রিজে থাকা আরেক ওপেনার জাকির হাসানের সঙ্গী হন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। দুজন মিলে ভারতীয় পেসারদের দেখেশুনেই খেলছিলেন। দলীয় ২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দুজন মিলে পরের সাত ওভারে যোগ করেন আরও ২০ রান। তবে নবম ওভারে জোড়া আঘাত হানে আকাশ দীপ।
ভারতীয় এই পেসারের ওভারের প্রথম বলে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে মিডল স্ট্যাম্প উপড়ে যায় জাকিরের। এরপর দ্বিতীয় বলেও একই রকম বল করেন আকাশ। ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটার মমিনুল হক পরাস্ত হন তাতে। প্যাডে লেগে বল আঘাত হানে অফ স্ট্যাম্পে। মমিনুলও ফিরেন শূন্য রানেই। দুই দলে দুই উইকেট হারিয়ে টাইগাররাও পড়ে বিপাকে। এরপর ক্রিজে শান্তর সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম। মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তুলেছ ২৬ রান।
বিরতি থেকে ফিরেই দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। শান্ত ৩০ বলে ২০ ও মুশফিকুর রহিম ১৪ বলে ৮ রান করে ফিরে যান। এরপর লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামলে ওঠছিলেন সাকিব আল হাসান। দুজন মিলে গড়েছিলেন পঞ্চাশ রানের জুটি। তবে লিটন নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। তিনি জাদেজার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ২২ রান করে আউট হন।
লিটন ফেরার পর একই পথ ধরেন সাকিবও। জাদেজার করা এর পরের ওভারে তিনি আউট হন পন্তের গ্লাভসবন্দী হয়ে। সাকিব আউট হওয়ার তিন টেইলএন্ডার ব্যাটারকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করছিলেন মিরাজ। তবে দলীর রান খুব বেশি বাড়াতে পারেননি তিনি। ভারতীয় বোলারদের তোপের সামনে খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি হাসান মাহমুদ, তাসকি আহমেদ এবং নাহিদ রানারা, টাইগাররা অল আউট হয় ১৪৯ রানে।