এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৯৯ জন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ২৬৫ জনে। এসময় নতুন করে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৪ জনে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে জানানো হয়, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২৯৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এসময়ে নতুন করে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের একজন ঢাকা উত্তর সিটি ও অপরজন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। ফলে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৪ জনে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ১৬৯ জন রয়েছেন। এছাড়াও ঢাকা বিভাগে ৬৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, বরিশাল বিভাগে ৫ জন, খুলনা বিভাগে ২৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩ জন এবং রংপুর বিভাগে ২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ২২ হাজার ২৬৫ জন। যাদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ১২৪ জনের মধ্যে ৫৪ শতাংশ নারী এবং ৪৬ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে, ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।