বিসিএস পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তবে সেই কমিটি প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো প্রমাণ পায়নি বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান।
পিএসসি চেয়ারম্যান জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিসিএসের স্থগিত হওয়া লিখিত পরীক্ষা অক্টোবর মাসেই শুরু হবে।
সোহরাব হোসাইন বলেন, পটপরিবর্তনের কারণে বেশ কিছুদিন পিএসসিতে কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা ছিল। সে কারণে অনেক কাজ জমে গেছে। আমরা এখন কার্যক্রমে গতি আনার উদ্যোগ নিয়েছি।
কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে সোহরাব হোসাইন বলেন, ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা আমরা এক মাসের মধ্যে শুরু করার চেষ্টা করছি। ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার মূল্যায়ন চলছে। যদি দ্বিতীয় পরীক্ষকের মূল্যায়নে ২০ শতাংশের বেশি ব্যবধান হয়, তাহলে আমরা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠাব। আর ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য আমাদের মডারেশন লাগবে। পরীক্ষার কেন্দ্র ঠিক করা লাগবে। প্রেসের সঙ্গে বসতে হবে। সব মিলিয়ে দুই মাসের মতো সময় লাগতে পারে।
এর আগে পিএসসিতে গতি ফেরাতে সোমবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুটি বিসিএসের স্থগিত পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা ও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সব ঠিক থাকলে এবং সরকারের পক্ষ সহযোগিতা পেলে অক্টোবরের মাঝামাঝি ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে বলে সিদ্ধান্ত হয়। তাছাড়া স্থগিত থাকা ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া কথাও ভাবা হচ্ছে।
গত জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিলে বিসিএসসহ নিয়োগ পরীক্ষাগুলো স্থগিত করে পিএসসি। ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা চলছিল। সেটা স্থগিত করা হয়। ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হলেও খাতা মূল্যায়নসহ অন্যান্য কাজ আটকে আছে। এছাড়া ১৪ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা শুরুর একদিন আগে বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রথম অর্ধবার্ষিকী বিভাগীয় পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে গত জুলাইয়ের শুরুতে পিএসসির নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াত চক্রের সন্ধান পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির ছয় কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৭ জনকে গ্রেফাতার করে সিআইডি। পরে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তখন পিএসসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রশ্ন ফাঁস প্রমাণিত হলে পরীক্ষা বাতিল হতে পারে।