মণিপুরের পর এবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি অরুণাচলে

0
5

ভারতের মণিপুর রাজ্যের পর এবার অরুণাচল প্রদেশের পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা। ৪৬ বছরের পুরনো ধর্মান্তরণ রোধ আইন নিয়ে একপ্রকার সম্মুখসমরে খ্রিস্টান এবং হিন্দু জনজাতি সংগঠন। অরুণাচলে ধর্মান্তরণ রোধ আইন পাশ হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। কিন্তু তার পর থেকে কোনও সরকারই সেই আইনের ‘বিধি’ তৈরি করেনি। ২০১৬ সাল থেকে সেখানে লাগাতার পেমা খান্ডুর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার চলছে। অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়েও সেখানে গেগং আপাঙের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার ছিল।

কিন্তু কোনও আমলেই ধর্মান্তরণ রোধ আইনের ‘বিধি’ তৈরি করা যায়নি। জনজাতি সম্প্রদায়ের এক আইনজীবীর দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় সম্প্রতি গুয়াহাটি হাইকোর্টের ইটানগর বেঞ্চ ওই আইনের ‘বিধি’ প্রণয়ন করে তা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের সেই রায়ে হাই কোর্টের নির্দেশ, ছ’মাসের মধ্যে অরুণাচল সরকারকে ১৯৭৮ সালে পাশ হওয়া আইনটির ‘বিধি’ প্রণয়ন করতে হবে। হাইকোর্টের রায়ের পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। আরএসএসের জনজাতি সংগঠন ‘বনবাসী কল্যাণ আশ্রম’ দীর্ঘদিন ধরে এই আইন কার্যকর করার দাবি জানিয়ে আসছে। সংঘের ওই সংগঠনের দাবি, ধর্মান্তরণ প্রতিরোধ আইন কার্যকর হয়ে গেলে আদিবাসীদের ধর্মান্তরণ রুখে দেওয়া যাবে।

এদিকে আদালতের রায়ের পর অরুণাচলের খ্রিস্টানদের সংগঠন অরুণাচল খ্রিস্টান ফোরাম ইটানগরে একদফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে। ওই সংগঠনের সভাপতি তারাহ মিরির দাবি, দুলক্ষের বেশি সংখ্যালঘু এই আইন কার্যকর করার বিরোধিতায় পথে নেমেছিলেন। তাদের দাবি, এই আইন কার্যকর হয়ে গেলে খ্রিস্টানদের ক্ষতি হবে। অন্যদিকে বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি গুবিনের দাবি, ‘এই আইন কার্যকর হলে আর জনজাতিদের ধর্মান্তরিত করা যাবে না বলে গির্জার নির্দেশে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সরকারের উপরে তারা চাপ তৈরি করতে চাইছে। তাই আমরাও পাল্টা পথে নামছি। সরকারকে আমরা বাধ্য করব এই আইন কার্যকর করতে।’’এককথায় বলা যায় মণিপুরের পর এবার উত্তর-পূর্ব ভারতের আরও একটি রাজ্যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরির আশংকা।

সূত্র : scroll.in

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here