গত ৭ই জানুয়ারি বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হয়নি বলে মন্তব্য করেছে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। দলটির নেতারা বলছেন, ৭ তারিখে যেটা হয়েছে সেটা ছিলো দাদা-বাবুদের প্রেসক্রিপশনে একটি ডামি নির্বাচন। এই ডামি নির্বাচন জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে, ভোটকেন্দ্রে ৭ ভাগ মানুষও যায়নি।
শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে ‘৭ই জানুয়ারির একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে’ জনতার বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন নেতারা।
বিক্ষোভে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মসিউজ্জামান বলেন, গত ৭ই জানুয়ারি কোন নির্বাচন এদেশে হয়নি, যেটি হয়েছে সেটি ছিলো একটি তামাশা। এই তামাশায় জনগণের ভ্যাট ট্যাক্সের হাজার হাজার কোটি নষ্ট করা হয়েছে, এর খেসারত আওয়ামী লীগকে দিতে হবে। আমরা গণঅধিকার পরিষদ ৭ই জানুয়ারির একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হাসান বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। গত ৭ই জানুয়ারি বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হয়নি, যেটা হয়েছে সেটা ছিলো দাদা-বাবুদের প্রেসক্রিপশনে একটি ডামি নির্বাচন। এই ডামি নির্বাচন জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে, ভোটকেন্দ্রে ৭ ভাগ মানুষও যায়নি। আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরাই বলেছেন, এই নির্বাচন কারচুপির নির্বাচন, মৃত ব্যক্তিরাও ভোট দিয়েছে।
তিনি বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগের নৌকার মাঝিরাই বলছে, নির্বাচন স্বচ্ছ ছিলো না, সেখানে পরিষ্কার যে এটা বাংলাদেশের জনগণের কোন নির্বাচন নয়। কোন সভ্য দেশ আন্তর্জাতিক বিশ্ব এই নির্বাচনকে সমর্থন দেয়নি, যারা দিয়েছে তাদের দেশেও একদলীয় স্বৈরতন্ত্র বিদ্যমান। আমরা গণঅধিকার পরিষদ লড়াই চালিয়ে যাবো বিজয় না আসা পর্যন্ত।
এসময় গণঅধিকার পরিষদের তারেক রহমান, জিয়াউর রহমান, আরিফ বিল্লাহ, নুরুল হুদা, শামীম রেজা, ইমাম উদ্দিন, ফায়সাল আহমেদ, আব্দুল্লাহ, শফিকুল ইসলাম রতন, সাকিব হোসাইন, মুনতাসীর মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।