থাইল্যান্ডে আবিষ্কৃত হয়েছে ১৫ মিলিয়ন টনের বিশাল লিথিয়াম খনি। দেশটির সরকার গত শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে ইলেক্ট্রিক যানবাহনের ব্যবহার যখন ক্রমশ বাড়ছে, তখন লিথিয়ামের এই বিশাল খনি থাইল্যান্ডকে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক লাভবান করবে।
আরটি জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় ফাংগা প্রদেশে ওই খনি পাওয়া যায়। এ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে লিথিয়ামের মজুদের হিসাবে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে উঠে এলো থাইল্যান্ড। প্রথমে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দুই দেশ বলিভিয়া ও আর্জেন্টিনা। তবে লিথিয়াম শোধন থাইল্যান্ড কতটা বাণিজ্যিকভাবে করতে পারবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
থাই সরকারের উপমুখপাত্র রুদক্লাও ইন্তাওং সুওয়ানকিরি জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় ফাংগা প্রদেশের দুটি পৃথক জায়গায় ১৪.৮ মিলিয়ন টন লিথিয়াম ছড়িয়ে রয়েছে। আমরা যে সম্পদ পেয়েছি, তা থেকে আমরা কতটা ব্যবহার করতে পারব তা নির্ধারণের চেষ্টা করছি। এতে সময় লাগবে। এটি একটি ভালো খবর। বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে থাইল্যান্ডের স্বনির্ভর হওয়ার এটি একটি সুযোগ।
বৈদ্যুতিক গাড়ির পাশাপাশি স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিকসে ব্যবহৃত ব্যাটারি তৈরিতে লিথিয়াম একটি মূল উপাদান।
প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সরকার গত আগস্টে দেশটির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল। তারা বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য একটি আঞ্চলিক উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে থাইল্যান্ডকে উন্নীত করার চেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। প্রচলিত গাড়ি সংযোজনে দেশটির ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে। গণমাধ্যমটি বলেছে, সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠক চলাকালীন স্রেথা জার্মান বহুজাতিক কম্পানি বশের ডেপুটি চেয়ারম্যানসহ শিল্প নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি থাইল্যান্ডে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে বিনিয়োগ করার জন্য অনুরোধ জানান। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দুটি চীনা ইভি জায়ান্ট বলেছিল, তারা থাইল্যান্ডকে একটি উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে ৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।