বান্দরবানের তিন উপজেলা রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতেনা সোলী ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এই তিন উপজেলার গ্রাহকরা জেলা সদরের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা থেকে টাকা তুলতে পারবেন। বৃহস্পতিবার সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সোনালী ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে।
বান্দরবান সদরের সোনালী ব্যাংক শাখার অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক ওসমান গণি এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, বান্দরবানের তিন উপজেলা রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে সোনালী ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এই তিন উপজেলার গ্রাহকরা জেলা সদরের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় গত মঙ্গলবার রাত সোয়া আটটার দিকে অস্ত্রধারীরা হামলা চালায়। টাকা লুট করতে ব্যর্থ হয়ে হামলাকারীরা সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে অপহরণের করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫টি গুলি লুট করে। মানুষের মুঠোফোনও নিয়ে গেছে তারা। এরপর বুধবার বেলা একটার দিকে থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় হামলা করে অস্ত্রধারীরা সাড়ে ১৭ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির সঙ্গে নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফ সদস্যরা জড়িত বলে প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। থানচির ঘটনার সঙ্গেও কেএনএফ জড়িত বলে স্থানীয় লোকজন বলছেন।