অবশেষে দুই অংকের ঘর থেকে নিচে নামলো খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার। ডিসেম্বরে সার্বিক হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক পাঁচ আট শতাংশে। যা নভেম্বরে ছিল সাড়ে ১০ ভাগের ওপরে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো – বিবিএসের সবশেষ প্রতিবেদনে মিলেছে এমন তথ্য।
এতে বলা হয়, অক্টোবরে ১২ শতাংশের পর এই প্রথম মূল্যস্ফীতি সিঙ্গেল ডিজিটে নামলো। যদিও সার্বিক হিসাবে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে পরিমাণ এখন ৯ দশমিক চার এক শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক চার নয় শতাংশ।
অন্যদিকে গত মাসে দেশে খাবারের বাইরে অন্যান্য পণ্যের দর বেড়েছে। খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশ, যা নভেম্বরে ছিল ৮ দশমিক এক ছয় শতাংশ। বিবিএসের দাবি, ডিসেম্বরে শহরের চেয়ে, গ্রামে মূল্যস্ফীতি বেশি ছিল।
মূল্যস্ফীতি হলো একধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়। খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে যাওয়ার অর্থ গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি সামান্য কমেছে। তবে বাজারে শীতের শাকসবজিসহ চাল, আটা, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, আলুসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম এখনও বাড়তি।