জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক এবং সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত হয় ‘ফিফা দ্য বেস্ট’-এর বিজয়ী। নিজেদের জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ার সুবাদে ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি এবং পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। ‘দ্য বেস্ট’ অ্যাওয়ার্ডে এলএমটেন ভোট দিলেও এতে অংশই নেননি সিআরসেভেন।
পুরস্কারের দৌড়ে থাকা জাতীয় দলের অধিনায়ক নিজেকে ভোট দিতে পারেন না। ২০২৩ দ্য বেস্টের খেতাব জয়ী লিওনেল মেসি পুরুষ ক্যাটাগরিতে নিজের পছন্দের তালিকায় শুরুতে রাখেন ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং ব্রট হালান্দকে। দ্বিতীয় হয়েছেন তিনি। পিএসজির সাবেক সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিজের দ্বিতীয় ভোটটি দেন মেসি। তৃতীয় হন ফরাসি ফরোয়ার্ড। আর মেসির তৃতীয় ভোটটি পান তার জাতীয় দলের সতীর্থ ম্যান সিটি ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজ।
‘বেস্ট’ কোচ বাছাইয়ে মেসির প্রথম পছন্দ ছিলেন তার সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলা। বার্সেলোনার সাবেক এই ম্যানেজার ২০২২-২৩ মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটিকে ট্রেবল জিতিয়ে দ্য বেস্ট হন। এক সময়ের সতীর্থ এবং বার্সেলোনার বর্তমান কোচ জাভি হার্নান্দেজকে সেরা কোচের দ্বিতীয় ভোটটি দেন মেসি।
তিনে রাখেন ইতালির কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তিকে। বর্ষসেরা গোলরক্ষক হিসেবে মেসির প্রথম পছন্দ ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির এদেরসন। ব্রাজিলিয়ান কিপার জিতেছেনও এই পুরস্কার। মেসির দ্বিতীয় ভোট পান আন্দ্রে ওনানা। আর তৃতীয় ভোটটি পান বার্সেলোনার মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন।
ফিফা দ্য বেস্টের পুরুষ ক্যাটারাগিতে সেরা একাদশেও ছিলেন না দু’বার পুরস্কারটি জেতা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ভোটিংয়েও অংশ নেননি পর্তুগাল অধিনায়ক। ইউরোস্পোর্ট জানিয়েছে, রোনালদোর পরিবর্তে পর্তুগালের হয়ে ভোট দেন পেপে। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই ডিফেন্ডার মেসিকে সেরা তিনেও রাখেননি। পেপের তিনটি ভোট পান যথাক্রমে বার্নার্দো সিলভা, আর্লিং ব্রট হালান্দ এবং ভিক্টর ওশিমেন।
নরওয়ের অধিনায়ক হওয়ায় আর্লিং হালান্দের ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না। ফ্রান্সের অধিনায়ক হিসেবে ভোট দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি ফরোয়ার্ডের প্রথম ভোটটি পান লিওনেল মেসি। দ্বিতীয় ভোট দেন আর্লিং হালান্দকে। আর তৃতীয় ভোটটি ম্যান সিটির বেলজিক মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনাকে দেন এমবাপ্পে।