অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ উপহার দিলো ভারত ও আফগানিস্তান। বুধবার বেঙ্গালুরুতে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি টাই হলে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেটিও ড্র হয়। এরপর দ্বিতীয় সুপার ওভারে নিষ্পত্তি হয় ম্যাচ। অধিনায়ক রোহিত শর্মার ব্যাটিংয়ে জয় পায় ভারত। তবে প্রথম সুপার ওভারে ‘রিটায়ার আউট’ হওয়া হিটম্যানের দ্বিতীয় সুপার ওভারেও ব্যাটিং করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বেঙ্গালুরুতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে রোহিত শর্মার অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রানের টার্গেট ভারত। জবাবে ৬ উইকেটে ২১২ রান তুলে ম্যাচ ড্র করে আফগানিস্তান। প্রথম সুপার ওভারে দুই দলই তোলে ১৬ রান করে। আফগানিস্তানের দেয়া ১৭ রানের লক্ষ্যে রোহিত শর্মার দুই ছক্কায় ১৬ রান তোলে ভারত।
তবে শেষ বলে রোহিত ছিলেন নন-স্ট্রাইকে। ভারতের প্রয়োজন তখন ২ রান। এ সময় রোহিত উঠে গিয়ে রিংকু সিংকে মাঠে পাঠান। কারণটা সহজে অনুমেয়, এর আগে ২০ ওভার ব্যাটিং করা রোহিতের চেয়ে রিংকু দ্রুত সিঙ্গেল নিতে পারবেন। শেষ বলে ভারত ১ রান নিলে ম্যাচ গড়ায় দ্বিতীয় সুপার ওভারে। আবারও ব্যাটিংয়ে নামেন রোহিত। এবার ফরিদ আহমেদের প্রথম ৩ বলে ১১ রান তোলেন হিটম্যান। ১২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানিস্তান আটকে যায় ১ রানেই।
কিন্তু রোহিত প্রথম সুপার ওভারে রিটায়ার আউট ছিলেন নাকি রিটায়ার হার্ট? ম্যাচ শেষে ভারত কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেছেন, রোহিত রিটায়ার আউট ছিলেন। যদি সেটাই হয়ে থাকে, তাহলে দ্বিতীয় সুপার ওভারে তার ব্যাটিং বৈধ ছিল না। আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনের ২২ ধারা অনুসারে, প্রথম সুপার ওভারে আউট হওয়া ব্যাটার পরের সুপার ওভারে নামতে পারেন না। তেমনভাবে প্রথম সুপার ওভারে বোলিং করা বোলার দ্বিতীয় সুপার ওভারে বল করতে পারেন না। আইসিসির এই নিয়ম খাটানো হয়েছে আফগানিস্তানের ওপর। দ্বিতীয় সুপার ওভারে প্রথম সুপার ওভারে বোলিং করা আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে দিয়ে বোলিং করাতে চেয়েছিল আফগানিস্তান। তবে সেটা তারা করতে পারেনি। বল করেন ফরিদ।
ম্যাচ শেষে আফগান কোচ জোনাথন ট্রট বলেন, বিষয়টি নিয়ে তার কোনো ধারণাই নেই। তিনি বলেন, ‘আমার কোনো ধারণা নেই। এর আগে কি কখনো দুটি সুপার ওভার হয়েছে? বলতে চাচ্ছি, এটা নতুন কিছু। আমি যেটা বলার চেষ্টা করছি, আমরা নিয়মগুলোকে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করছি, নীতিমালাকে পরীক্ষা করছি।’