উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বাদ দেয়ার প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাত তারিখের পর গতকাল সোমবার দ্বিতীয় পরাজয় হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিজেরা পরাজয় স্বীকার করে নিজেরাই নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছে। তারা এখন নৌকা নিয়ে নির্বাচন করবে না। এখানেই তাদের পরাজয় হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের বাড়াবাড়ি এখন ধোপে টিকছে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ওলামা দলের আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি শাহ নেসারুল হক। সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।
আব্দুল মঈন খান বলেন, এখন আর বক্তব্য নয়, কাজ করবার সময়। বিএনপি রাজপথে নেমেছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে। আওয়ামী লীগের কারণে গণতন্ত্র আজ মৃত। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় বাকশাল গঠন করে মানুষের অধিকার হরণ করেছে।
আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মকাণ্ড স্বাধীনতার আদর্শের বিরোধী। তিনি বলেন, সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষে নাভিশ্বাস উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যে প্রতিবাদ করছে তা হবে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ। ভুয়া প্রহসনের নাটক করায় বাংলাদেশের মানুষ আজ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশে বিদেশে আওয়াজ উঠেছে এখানে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। ইলেকশনের নামে সিলেকশন হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিজয় মিছিল নয়, পরাজয়ের মিছিল করছে।
মঈন খান বলেন, সংবিধান নয় সরকারের দুর্নীতি লুটপাটের প্রীতি রয়েছে। সংবিধানের দোহাই সরকারের প্রহসন মাত্র। তিনি বলেন, জনগণের শক্তিকে কামান গোলা দিয়ে রুখতে পারবে না। এই সরকারকে বিদায় করা হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করেও সফল হয়নি সরকার, বিএনপির নেতাকর্মীরা হারেনি। জনগণ জেগে উঠেছে তবে বাঁধ সেধেছে পুলিশ বাহিনী। জীবন মরণ লড়াই করা হবে এরপরও আওয়ামী লীগকে বাকশাল কায়েম করতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, নেতাকর্মীরা হতাশ নয়, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ধমকে বিএনপি ভয় পায় না। অভিনব কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে। অচিরেই জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।