সর্বশেষ
Home » রাজনীতি » অন্যান্য দল » জনগণের পকেট কাটার মহোৎসবের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: বাম গণতান্ত্রিক জোট

জনগণের পকেট কাটার মহোৎসবের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: বাম গণতান্ত্রিক জোট

গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম বাড়িয়ে সরকার জনগণের পকেট কাটার মহোৎসবের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তারা বলেছেন, প্রহসনের নির্বাচনে ঘোষিত সরকার শুরুতে চালের মূল্য বাড়িয়েছে। আর এখন ঠিকমতো গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি না দিতে পারলেও এসব ক্ষেত্রে দাম বাড়িয়েই চলেছে। এভাবে জনগণের পকেট কাটার মহা–উৎসবে মিলিত হওয়ার প্রচেষ্টা নিচ্ছে। বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের এ সভা হয়। সেখানেই এসব কথা বলেন বক্তারা। জোটের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাসদের (মার্কসবাদী) সীমা দত্ত, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের তৈমুর খান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ঋণখেলাপি, দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারী লুটেরাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার ও এদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে খবর বেরিয়েছে যে টাকা ছাপিয়ে কয়েকটি ব্যাংককে দেওয়া হচ্ছে।
এসবের মধ্য দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষকে আবারও সংকটের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সভায় নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার করে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন, ভোটাধিকার, নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, মূল্যবৃদ্ধি বন্ধের দাবিতে ২৭ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সভায় বাম নেতারা দেশের গ্যাস সংকটে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কিছু ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও কমিশনভোগীদের সুযোগ দেওয়ার নীতি ও দুর্নীতির কারণে এই সংকট তৈরি হয়েছে। দেশের স্থলভাগ ও সমুদ্রভাগের গ্যাস অনুসন্ধানে কার্যকর ভূমিকা না নিয়ে ব্যবসায়ী ও কমিশনভোগীদের স্বার্থে গ্যাস খাতকে আমদানির ভাগ খাতে পরিণত করা হয়েছে। এসব লুটেরা ব্যবসায়ী ও কমিশনভোগী টাকার পাহাড় গড়েছে অথচ আজ গ্যাস-সংকটে শিল্প ও জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে।
সভার শুরুতে ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলা হয়, শহীদদের স্বপ্ন পূরণে নীতিনিষ্ঠ অবস্থানে থেকে বামপন্থীরা লড়াই চালিয়ে যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *