চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৫৭২ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছেন উদ্যোক্তারা। মাসটিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১.৪৫ শতাংশ। গত বছরের জানুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছিল প্রায় ৫১৪ কোটি ডলারের পণ্য। তবে প্রবৃদ্ধি হলেও জানুয়ারি মাসে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি।
সদ্য সমাপ্ত জানুয়ারি মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৭৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার, লক্ষ্যমাত্রা থেকে কম আদায় হয়েছে দশমিক ৬৯ শতাংশ।
রোববার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বা ইপিবি রপ্তানির হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, নতুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার ৩২৬ কোটি ডলারের রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল তিন হাজার ২৪৫ কোটি ডলার। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের সাত মাসে সামগ্রিক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।
তবে আলোচ্য সময়ের জন্য সরকার রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল, সেটি পূরণ হয়নি। গত জুলাই থেকে জানুয়ারি সময়ের জন্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তিন হাজার ৫৮৮ কোটি ডলারের।
দেশের রপ্তানি আয়ের বড় খাত তৈরি পোশাকে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ সাত মাসে পোশাক রপ্তানি হয়েছে দুই হাজার ৮৩৬ কোটি ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৭৪২ কোটি ডলার। তবে পোশাক রপ্তানির ওপর ভর করে সার্বিক রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে কৃষিখাতে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ, কেমিক্যাল পণ্যে ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ, ম্যান মেইড ফাইবারে ২৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ আর স্পেশালাইজড টেক্সটাইলে ২৪ দশমিক ২৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
অন্যদিকে, একই সময়ে পাটজাত পণ্যে ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ, হিমায়িত মাছে ১ দশমিক ৯৮ ও চামড়াজাত পণ্যে ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।