বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের অংশগ্রহণে ১০ দিনব্যাপী ‘এক্সারসাইজ কোপ সাউথ-২০২৪’ শীর্ষক যৌথ মহড়া শেষ হয়েছে। এতে অংশ নেয়, মার্কিন বিমান বাহিনীর ৭৭ সদস্য। এছাড়া ছিল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে, একটি এএন-৩২ পরিবহন বিমান এবং প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের দুইটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান।
মার্কিন বিমান বাহিনীর ওয়েবসাইটে বলা হয়, গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই মহড়া চলে। জাপানে অবস্থিত ইয়োকোটা ও কাদেনা বিমান ঘাঁটি, জয়েন্ট বেস পার্ল হারবার-হিকাম এবং গুয়ামের অ্যান্ডারসেন এয়ার ফোর্স বেস থেকে মার্কিন সেনারা এই মহড়ায় অংশ নেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে এই মহড়া হয়েছে।
আপদকালীন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমানগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের অনুশীলন করা হয় এই মহড়ায়। এই যৌথ অনুশীলনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের মধ্যে আন্তঃসক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ বিনিময়, পরিবহন বিমানের উন্নত রক্ষণাবেক্ষণের বিভিন্ন কার্য পদ্ধতি, প্রশিক্ষণকালীন ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির কার্য উপযোগিতা মূল্যায়নসহ উন্নত ব্যবহার এবং ভবিষ্যতে এই কার্যক্রমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যে সকল যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে তা নির্ণয়সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়।
মহড়াটি দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে দুর্যোগ মোকাবেলার সামর্থ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পারস্পরিক সমঝোতা ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি এটি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করবে।
৩৬তম ইএসএস মিশন কম্যান্ডার ক্যাপ্টেন জেসন বেন্টলি বলেন, এই মহড়া আমাদের বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করেছে। তাই আমরা ভবিষ্যতে একসাথে কাজ করার জন্য আরও ভালভাবে প্রস্তুত। আমরা এমন সব দক্ষতা তৈরি করছি যা মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগ ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তা করে। পাশাপাশি যা ক্রু রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, এয়ারক্রাফ্ট গঠন, এয়ারড্রপ অপারেশন, বিমান রক্ষণাবেক্ষণ এবং অ্যারোমেডিকাল ইভাকুয়েশন সহ বিস্তৃত বিষয়ে মহড়া করা হয়েছে।
মাস্টার সার্জেন্ট তনিশা ওডম (৩৬) বলেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর লোডমাস্টাররা অনেক সদয় ছিলেন।
আমাদের প্রায়ই মনে হয়েছে আমরা কোনো পুরানো বন্ধুদের সাথে কথা বলছি এবং বিমানচালক হিসাবে আয়ত্ব করা অভিজ্ঞতাগুলো নিজেদের মধ্যে শেয়ার করে নিচ্ছি। আমরা সেখানে অল্প সময়ের মধ্যে একটি উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলাম। আমি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগের জন্য কৃতজ্ঞ।