প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষে ড. আলভি ক্ষমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে। কিন্তু ড. আলভি বলেছেন, সংবিধানের ৬ ধারার অধীনে যেকোনো আইনি প্রক্রিয়া মোকাবিলায় তিনি প্রস্তুত। বিভিন্ন সময়ে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে সংবিধানের ৬ ধারার অধীনে ড. আরিফ আলভির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা হলো পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেয়া। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের প্রথম অধিবেশন আহ্বান না করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ড. আরিফ আলভি ওই মন্তব্য করেছেন। তিনি রোববার ক্ষমতা হস্তান্তর করে দিয়ে প্রেসিডেন্টের বাসভবন ফাঁকা করে দিয়েছেন। এদিন সন্ধ্যায়ই করাচিতে ফিরে গেছেন। সেখানে তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছেন, তারা (সরকার) যদি চায় তাহলে অনুচ্ছেদ ৬-এর অধীনে তারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করুক।
তারা যেসব কর্মকাণ্ডকে অসাংবিধানিক বলছেন, তা নিয়ে তারা আদালতে যেতে পারেন। তিনি বলেন, আদালতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সিদ্ধান্তে অনুচ্ছেদ ৬ উল্লেখ করেনি। তার ভাষায়, স্বচ্ছতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে আমার জোরালো অবস্থান। আমি সংবিধান মেনেছি। যা যথাযথ মনে হয়েছে সেটাই করেছি। কিন্তু জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে পার্লামেন্টের সংরক্ষিত আসনগুলোর বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত এসেছে সে বিষয়ে তিনি ছিলেন অটল।